ই-জিপি সিস্টেমে যুক্ত দরপত্রদাতা তথ্যভান্ডারের সুযোগ নেওয়ার আহ্বান
25/05/2023
২৫শে মে ২০২৩ তারিখে পাবনায় গভর্নমেন্ট-টেন্ডারার্স ফোরাম (জিটিএফ)-এর একটি কর্মশালায় ই-জিপি সিস্টেমে যুক্ত দরপত্রদাতা তথ্যভান্ডারের সুযোগ গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানানো হয়েছে।
পাবনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনাব মোঃ শামীমুল হক, পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব), সিপিটিইউ, আইএমইডি, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) জনাব আব্দুল্লাহ আল মামুন।
সরকারি ক্রয় বিষয়ে ক্রয়কারী ও দরদাতাদের মধ্যে মতবিনিময়ের সুযোগ তৈরী এবং ক্রয় চুক্তির যথাযথ বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিপিটিইউ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপি) আওতায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) কর্মশালার ব্যবস্হাপনা করেছে।
ডা. জিনাত সুলতানা, প্রোগ্রাম ডিরেক্টর, বিসিসিপি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং কর্মশালায় জিটিএফ-এর উপর একটি উপস্থাপনা পেশ করেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব মোঃ শামীমুল হক জিটিএফ-এর গুরুত্ব তুলে বলেন যে এটি ক্রয় চুক্তি বাস্তবায়নে একটি অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সাহায্য করবে।
দেশের উন্নয়ন বাজেটের ৮০ শতাংশ ব্যয় হয় ক্রয় কার্যক্রমে। সরকারি ক্রয়ে মোট ব্যয়ের ৬৫ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে পরিচালিত হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, ক্রয় প্রক্রিয়ার পূর্ণ বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে জিটিএফ ভূমিকা পালন করে।
এ-চালান, ই-অডিট, ইন্টারন্যাশনাল টেন্ডার, টেন্ডারার ডাটাবেস সহ কিছু উল্লেখযোগ্য মডিউল অন্তর্ভুক্ত করে সিস্টেমটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সিপিটিইউ আন্তরিকভাবে কাজ করছে এবং সেজন্য সিস্টেমটি এখন সম্পূর্ণ ডিজিটালাইজড করা হয়েছে।
সিপিটিইউ দরপত্রদাতাদের জন্য দিনে ২৪ ঘন্টাই প্রয়োজনীয় সব ধরণের তথ্য সরবরাহ করে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, এর হেল্প ডেস্কটি ২৪ ঘন্টা, সপ্তাহের সাত দিন এবং বছরে ৩৬৫ দিন খোলা থাকে। এছাড়াও ২৮টি সংস্থার ১০ টি ক্লাস্টারে হেল্প ডেস্ক দরপত্রদাতাদের প্রশ্নের উত্তর প্রদান করে বলে তিনি জানান।
ই-জিপির উপযোগিতা তুলে ধরে তিনি উল্লেখ করেন, সিস্টেমটি ডিজিটাইজড হওয়ায় কোভিড-১৯ মহামারীর কারণে লকডাউন চলাকালীনও সরকারি ক্রয় কার্যক্রম নিরবচ্ছিন্ন ছিল। তিনি দরপত্রদাতা ও সরকারি সংস্থার সক্রিয় থাকার জন্য কমিটিকে আপডেট করে ফোরাম পরিচালনা করার আহ্বান জানান। দরপত্রদাতাদের ই-জিপির মূল চালিকা শক্তি উল্লেখ করে তিনি বলেন যে বাংলাদেশ ই-জিপি ব্যবস্থাকে টেকসই করে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি)- এর ১২.৭ লক্ষ্য অর্জনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে।
ক্রয় কার্যক্রমে যুক্ত সকলের দক্ষতা উন্নয়নের প্রয়োজনীয়তার উপর জোর দিয়ে মোঃ শামীমুল হক দরপত্রদাতা ও ক্রয়কারী উভয়ের জন্য সিপিটিইউ কর্তৃক আরও প্রশিক্ষণ প্রদানের আশ্বাস দেন।
দরপত্রদাতা তথ্যভান্ডারের কার্যকারিতা তুলে ধরে তিনি সকল দরপত্রদাতাদের নিবন্ধন এবং সিস্টেমে তথ্য আপলোড করার আহ্বান জানান। দ্রুতই এমন সময় আসছে যখন সিস্টেমে নিবন্ধিত না হলে দরপত্রদাতাদের টেন্ডারে অংশ নেওয়ার সুযোগ থাকবে না।
পাবনার এএসপি জনাব জিয়াউর রহমান, এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব আনিসুর রহমান মন্ডল, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব আবুল মনসুর আহমেদ, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব আতিকুল ইসলাম, জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব রোস্তম আলী হেলালী, পাবনা চেম্বার অব কমার্স এর সভাপতি জনাব সাইফুল আলম স্বপন চৌধুরী, জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জনাব নিখিল চন্দ্র হেলালী, পাবনা প্রেসক্লাবের সভাপতি জনাব এবিএম ফজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক জনাব সৈকত আফরোজ আসাদ, পাবনা সংবাদপত্র পরিষদের সভাপতি জনাব আব্দুল মতিন খান, সাধারণ সম্পাদক জনাব শহিদুর রহমান, বাসস প্রতিনিধি জনাব রফিকুল ইসলাম মিষ্টি, বিসিসিপির মিডিয়া বিশেষজ্ঞ জনাব গোলাম শাহনী, জেল সুপার জনাব নাসির উদ্দিন প্রধান, সিনিয়র তথ্য কর্মকর্তা জনাব মোঃ সামিউল আলম প্রমুখ কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।
জনাব আবদুল্লাহ আল মামুন জিটিএফ সদস্যদের প্রতি বছরে অন্তত একটি সভা করার আহ্বান জানান। কারণ এটি ক্রয়কারী ও দরপত্রদাতাদের মধ্যে পারষ্পারিক পেশাদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা করার পরিবেশ তৈরি করবে। কমিটিতে সাংবাদিকদের অন্তর্ভুক্তিরও পরামর্শ দেন তিনি।
জিটিএফ প্ল্যাটফর্মটি ক্রয়কারী সংস্থা এবং দরপত্রদাতাদের মতামত বিনিময় এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সম্পর্কিত সমস্যাগুলি নিয়ে আলোচনার সুযোগ তৈরি করে বলে উপস্থাপনায় বলা হয়।
কর্মশালায় ক্রয়কারী , দরপত্রদাতা, ব্যাংকার, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকদের প্রতিনিধিসহ ৭৫ জনেরও বেশি অংশগ্রহণ করেন।
এনডিবি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় কাঠামোর প্রশংসা করেছে
23/05/2023
ঢাকা, ২১ মে ২০২৩: বাংলাদেশ সফররত নিউ ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এনডিবি)-এর নয় সদস্য বিশিষ্ট একটি প্রতিনিধি দল ক্রয় কার্যক্রম বিষয়ে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সঙ্গে মতবিনিময় করেছে । গত ২১ মার্চ ২০২৩ তারিখে সিপিটিইউর সম্মেলন কক্ষে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
পূর্বেকার ব্রিকস ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক এখন এনডিবি নামে পরিচিত। বহুমুখী এ ব্যাংক অন্তর্ভুক্তিমূলক ও টেকসই প্রবৃদ্ধি অর্জনে সহায়তার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প ও উদ্ভাবনী সমাধানে অর্থায়ন করে থাকে। ব্রিকস দ্বারা মূলত ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে বোঝানো হয়ে থাকে। এই দেশগুলো এনডিবির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য। বাংলাদেশ ২০২১ সালে এ ব্যাংকের সদস্য হিসেবে যোগদান করে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও মিসরও এনডিবির নতুন সদস্য দেশ।
সিপিটিইউর মহাপরিচালক জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন। এনডিবির পাবলিক সেক্টর ডিপার্টমেন্টের প্রজেক্ট টিম লিডার হে তিয়ান প্রতিনিধি দলটির নেতৃত্ব দেন।
ঢাকা ওয়াসার ঢাকা সিটি ওয়াটার সাপ্লাই রেজিলিয়েন্ট প্রজেক্টে ঋণপ্রদান এবং ডিজিটাল অবকাঠামো, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন, পরিবেশ সুরক্ষা, সামাজিক অবকাঠামো ও পরিবেশবান্ধব জ্বালানিসহ নানা বিষয়ে অর্থায়নের সম্ভাবনা যাচাই করতে সাংহাইভিত্তিক বহুজাতিক ব্যাংকটির প্রতিনিধি দলটি বর্তমানে ঢাকায় অবস্থান করছে।
সভায় সিপিটিইউর মহাপরিচালক সরকারি ক্রয়ে সংস্কার পদক্ষেপ, ইলেকট্রনিক সিস্টেমে রূপান্তর, পেশাদারিত্বের উন্নয়ন, সংস্কার ইতিবাচক প্রভাব এবং নতুন বিভিন্ন উদ্যোগসহ বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় কাঠামো বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন। দেশে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সাম্প্রতিক অগ্রগতিও তুলে ধরেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম, ইলেকট্রনিক অডিট, দরপত্রদাতাদের তথ্যভান্ডার, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র, ই-চালানের মাধ্যমে ফি পরিশোধ ইত্যাদি।
এনডিবির সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট কর্মকর্তা মিস হুয়া জু তার উপাস্থাপনায় তাদের ক্রয় নীতি ও পদ্ধতির নানা দিক তুলে ধরেন। তিনি বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় কাঠামোর প্রশংসা করে বলেন, এখানকার সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা যথেষ্ট অগ্রসর।
সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সিপিটিইউর পরিচালক জনাব মাসুদ আকতার খান, জনাব মো. শামীমুল হক ও জনাব মাহফুজার রহমান, উপ সচিব লাবনী চাকমা, সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট জনাব মো. মোশাররফ হোসেনসহ অন্য কর্মকর্তারা। ঢাকা ওয়াসার প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী জনাব মোহাম্মদ আখতারুজ্জামানসহ সংস্থাটির দু’জন কর্মকর্তা সভায় অংশগ্রহণ করেন।
নরসিংদীতে ই-জিপি সচেতনতামূলক কর্মশালা: উন্নয়ন সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থ রক্ষায় সরকার যত্নবান
17/05/2023
নরসিংদী, ১৬ মে ২০২৩: দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে যারা কাজ করছে বিশেষ করে দরপত্রদাতাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের স্বার্থ রক্ষায় সরকার সব সময় যত্নবান।
এর অংশ হিসেবে তাদের সুবিধার্থে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেম চালু করা হয়েছে। বাজারের আকস্মিক অস্থিরতার কারণে সরকার তাদের (দরপত্রদাতাদের) সমস্যায় ফেলতে চায় না। কারণ তারা দেশের উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মাসুদ আকতার খান ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে এসব কথা বলেন। ১৬ মে ২০২৩ নরসিংদীতে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দেশের উন্নয়ন টেকসই করার লক্ষ্যে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সকলর মধ্যে ই-জিপি সম্পর্কে সচেতনতা সৃষ্টির জন্য জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সিপিটিইউ এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপি) আওতায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) কর্মশালার ব্যবস্হাপনা করেছে।
কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন নরসিংদীর জেলা প্রশাসক জনাব আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান। ড. জিনাত সুলতানা, পরিচালক (প্রোগ্রাম), বিসিসিপি, স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং ই-জিপি এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্টের উপর একটি উপস্থাপনা করেন।
কর্মশালায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব মোস্তফা মানওয়ার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জনাব শামসুল আরেফিন, দরপত্রদাতা ও ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বিসিসিপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব মোহাম্মদ আবদুস সালাম।
নির্মাণ সামগ্রীর উচ্চ মূল্য বৃদ্ধির কারণে দরপত্রদাতারা কর্মশালায় তাদের অসুবিধার কথা উত্থাপন করলে তাদের প্রতি সমবেদনা প্রকাশ করে, সিপিটিইউ পরিচালক বলেন, কোভিড -১৯ এবং রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে বিশ্ববাজারে অপ্রত্যাশিত অস্থিরতা এই পরিস্থিতির জন্য দায়ী, কিন্তু এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না বলে তিনি প্রত্যাশা করেন ।
কোনো দেশই এই অস্বস্তিকর পরিস্থিতির বাইরে নেই, উল্লেখ করে তিনি বলেন, "স্বস্তি দিতে সরকার সম্প্রতি নির্মাণ কাজের জন্য দরপত্রদাতাদের দ্বারা উদ্ধৃত করার জন্য উপকরণের হার বাড়িয়েছে। দাম আরও বেশি বেড়েছে যা দরপত্রদাতাদের আরও দূর্দশার মধ্যে ফেলেছে স্বীকার করে তিনি বলেন, এই ধরনের অস্বাভাবিক পরিস্থিতি বেশি দিন থাকবে না।
জেলা প্রশাসক জনাব আবু নঈম মোহাম্মদ মারুফ খান উন্নয়ন টেকসই করার জন্য গুণগত মান বজায় রেখে প্রকল্পের কাজগুলো চুক্তি সম্পাদনের পরপরই কাজ শুরু করতে এবং যথাসময়ে তা শেষ করার জন্য দরপত্রদাতাদের সর্বোচ্চ আন্তরিকতা দেখানোর আহ্বান জানান।
উপস্থাপনায় বলা হয়, ই-জিপি পোর্টালের পাশাপাশি, সিপিটিইউর ক্রয় বাতায়ন পোর্টাল চুক্তি বাস্তবায়ন নিরীক্ষণে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে কারণ এটি প্রকল্পের কাজের তথ্য নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত করেছে। এ জন্য সিটিজেন পোর্টালকে সর্বস্তরের মানুষের কাছে জনপ্রিয় করতে হবে বলেও উল্লেখ করা হয়েছে।
কর্মশালায় ক্রয়কারী কর্মকর্তা, দরপত্রদাতা ও সাংবাদিকসহ মোট ৭৫ জন অংশগ্রহণ করেন।
একক দিনে ই-জিপিতে দরপত্র উন্মুক্তকরণে নতুন রেকর্ড
03/05/2023
৩ মে ২০২৩, ঢাকা: ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে দরপত্র উন্মুক্তকরণের ক্ষেত্রে নতুন রেকর্ড হয়েছে।
৩মে ২০২৩ তারিখে ই-জিপি সিস্টেমে মোট ২২৩০টি দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়েছে। কোনো একটি একক দিনে ই-জিপি সিস্টেমে এটিই সর্বোচ্চ সংখ্যক দরপত্র উন্মুক্তকরণ।
এর আগে একক দিনে ই-জিপিতে সর্বোচ্চ ১৫০৮টি দরপত্র উন্মুক্ত করা হয়েছিল।
সরকারি ক্রয়ে সংস্কার এবং সরকারি পরিষেবা ডিজিটাইজ করার অংশ হিসেবে ২০১১ সালে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ই-জিপি সিস্টেম চালু করে।
২০২৩ সালের ৩মে পর্যন্ত মোট ১০৫৫৬৯ দরপত্রদাতা এবং ১১১৭৪টি ক্রয়কারী অফিস ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত হয়েছে। এ পর্ষন্ত ই-জিপি সিস্টেমে মোট ৬,৮৬,৭০৩ টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে। যার মোট মূল্য ৭০৭,১০৪ কোটি টাকা।
ক্রয় পরিকল্পনা থেকে শুরু করে চুক্তি বাস্তবায়ন পর্যন্ত পুরো সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়া ডিজিটাইজেশনের ক্ষেত্রে বিশ্বে নেতৃস্থানীয় পর্যায়ে রয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই-সিএমএস) ও ইলেকট্রনিক অডিট (ই-অডিট) মডিউল এবং দরপত্রদাতাদের তথ্যভান্ডারও ই-জিপিতে যুক্ত হয়েছে।
এছাড়া সিপিটিইউ টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি প্রণয়ন করেছে । বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউ ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (ডাইম্যাপ) প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।
ই-জিপি বছরে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় করছে। এতে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ সংক্রান্ত কাজে ভ্রমণের দূরত্ব প্রায় ৪৯৭ কিলোমিটার কমেছে। প্রায় ১০৫৩ মিলিয়ন পৃষ্ঠা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে। কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গমন কমেছে প্রায় ১ লাখ ৫৩ হাজার টন। প্রকিউরমেন্ট লিড টাইমও ১০০ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। ডিজিটাল এ পদ্ধতি সময় এবং অর্থ উভয়ই সাশ্রয় করছে।
স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ ই-পিএমআইএস
16/04/2023
১৭ এপ্রিল, ২০২৩, ঢাকাঃ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) ইলেকট্রনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ই-পিএমআইএস) স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্য অর্জনে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
১৭ এপ্রিল পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে এনইসি মিলনায়তনে ই-পিএমআইএস সফটওয়্যার ডেভলপমেন্ট বিষয়ে অংশীজনদের নিয়ে আয়োজিত এক কর্মশালায় বক্তারা একথা বলেন। আইএমইডির সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডাইম্যাপ) আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
বিশ্বব্যাংক ডাইম্যাপ প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহায়তা করছে। ডাইম্যাপের আওতায় ই-পিএমআইএস ব্যবস্থা চালু করেছে সিপিটিইউ। এর মাধ্যমে ইলেকট্রনিক পদ্ধতিতে প্রকল্পের পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করতে পারবে আইএমইডি।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডি সচিব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি ছিলেন আইএমইডির অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ড. গাজী মোঃ সাইফুজ্জামান। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিটিইউর মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী। সিপিটিইউর পরিচালক মো. আকনুর রহমান, পিএইচডি, ই-পিএমআইএস সফটওয়্যারের উপরে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন।
এতে ই-পিএমআইএসের উদ্দেশ্য, সুবিধা, মডিউল, মোবাইল অ্যাপ, অন্য সিস্টেমের সঙ্গে সমন্বয়, ব্যবহারকারীদের ভূমিকা ও দায়িত্ব ইত্যাদি নানাদিক তুলে ধরা হয়। স্মার্ট বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্য অর্জনে ই-পিএমআইএস বাস্তবায়নের গুরুত্ব সম্পর্কে জানান মোঃ আকনুর রহমান।
ই-পিএমআইএসের উদ্দেশ্য হচ্ছে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) প্রকল্পগুলিতে স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। বর্তমান সংশোধিত এডিপির অধীন ১৬২৭টি প্রকল্প রয়েছে। প্রকল্প বাস্তবায়ন কাজের দক্ষতা বাড়াতে, অপচয় ও অনিয়ম রোধে, একাধিক ডাটা পয়েন্টের সাথে সম্পর্কযুক্ত করতে এবং প্রকল্প বাস্তবায়নে আর্থিক ও ভৌত অগ্রগতি ব্যবস্থাপনায় সহায়তা করবে ই-পিএমআইএস।
কর্মশালায় আইএমইডির আটটি সেক্টরের মহাপরিচালক, পরিকল্পনা কমিশন, সিপিটিইউ, পরিকল্পনা বিভাগ ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) কর্মকর্তারা এবং প্রকল্প পরিচালকরা উপস্থিত ছিলেন।
আইএমইডি সচিব বলেন, আইএমইডি সারাদেশে প্রকল্প বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন করে। সব প্রকল্প মাঠ পর্যায়ে মনিটর করার জন্য বর্তমান জনবল যথেষ্ট নয়। ই-পিএমআইএস এই কাজ অনলাইনে করতে সহায়তা করবে। এটি প্রকল্পের অবস্থা সম্পর্কে সঠিক এবং তাৎক্ষনিক তথ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করবে। যে কোনো সিস্টেমের শুরুতে কিছু সমস্যা থাকে এবং অনুশীলনের মাধ্যমে তার উন্নতি হয়।
তিনি সিপিটিইউ কর্তৃক বাস্তবায়িত ই-জিপি সিস্টেমের উদাহরণ তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ই-জিপিতে সফলতা পাওয়া যাচ্ছে। বিদেশি প্রতিনিধিরা এখন ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে জানতে ও শিখতে বাংলাদেশে আসছে। ই-পিএমআইএস প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনাকে সহজ করবে বলে উল্লেখ্য করেন তিনি।
অতিরিক্ত সচিব, আইএমইডি, বলেন প্রকল্পের পরিচালক এবং বাস্তবায়নের সাথে সংশ্লিষ্টরা ই-পিএমআইসে তথ্য সরবরাহ করবেন। প্রকল্পের যথাযথ বাস্তবায়নের জন্য সেখান থেকে তথ্য সংগ্রহ করে বিশ্লেষণও করতে পারবেন তারা। তিনি জানান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক আনুষ্ঠানিকভাবে ই-পিএমআইএস চালুর পরিকল্পনা রয়েছে।
সিপিটিইউর মহাপরিচালক কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন। তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নের বিভিন্ন তথ্য ই-পিএমআইএস থেকে নেওয়া যেতে পারে এবং প্রকল্পের কার্যকারিতা মূল্যাইয়নের জন্য বিশ্লেষণ করা যেতে পারে। নীতিনির্ধারকদেরও তা সহজে অবহিত করা যেতে পারে। মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ই-পিএমআইএসে প্রকল্পের তথ্য ও ছবি দেওয়া যাবে। এটি ইতোমধ্যেই ই-জিপি সিস্টেম, ন্যাশনাল আইডি ডাটাবেইজ, আইবিএএস++, পিপিএস এবং এএমএসের সাথে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আইএমইডির ই-পিএমআইএস চালুর বিষয়ে ২০২১ সালে দোহাটেক নিউ মিডিয়া বাংলাদেশ, ডটজিওভি সলিউশনস এলএলসি ইউএসএ ও বেক্সিমকো আইটি ডিভিশন বাংলাদেশ সিপিটিইউর সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করে। ডাইম্যাপের আওতায় এ চুক্তিটি সই হয়।
সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে নাগরিক সম্পৃক্ততার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন মাননীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী
13/04/2023
১৩ এপ্রিল ২০২৩, ঢাকা: পরিকল্পনা মন্ত্রী এমএ মান্নান এমপি বলেছেন কিছু চ্যালেঞ্জ থাকা সত্ত্বেও মাঠ পর্যায়ে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে নাগরিকদের সম্পৃক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।
“যদিও সরকারি ক্রয়ে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা একটি নতুন ধারণা হলেও এর ইতিবাচক ফল রয়েছে এবং এটি অগ্রসরমান”। ৩৬- সদস্যবিশিষ্ট পাবলিক-প্রাইভেট স্টেকহোল্ডারস কমিটির (পিপিএসসি) ১৬ তম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা জানান।
পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ডিভিশন (আইএমইডি) এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ঢাকায় এনইসি কনফারেন্স কক্ষে ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপিপি)-এর আওতায় এ সভার আয়োজন করে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউ এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে।
আইএমইডি’র সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিনের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ সচিব ও পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (আর্থ-সামাজিক অবকাঠামো বিভাগ) মোসাম্মৎ নাসিমা বেগম। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিপিটিইউ’র পরিচালক মাসুদ আক্তার খান।
সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইএমইডি’র সচিব। সিপিটিইউর মহাপরিচালক মোহাম্মদ শোহেলের রহমান চৌধুরী ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সম্প্রসারণ এবং সাম্প্রতিক সময়ে অর্জিত বড় মাইলফলকগুলো নিয়ে একটি উপস্থাপনা করেন।
পিপিএসসি হলো সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের সামগ্রিক উন্নয়নে সুপারিশ এবং দিকনির্দেশনা দেওয়ার জন্য সরকারি ও বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের একটি প্ল্যাটফর্ম।
ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট (বিআইজিডি)’র সিনিয়র রিসার্চ ফেলো ড. মির্জা এম হাসান অনুষ্ঠানে নাগরিকদের সম্পৃক্ততা এবং এর মডেল সম্পর্কে একটি উপস্থাপনা করেন। বিআইজিডি-র গবেষণা পরিচালক ড. মুন্সি সুলাইমান নাগরিক সম্পৃক্ততার প্রভাব মূল্যায়ন নিয়ে আরেকটি উপস্থাপনা করেন। উল্লেখ্য, বিআইজিডি ডিআইএমএপিপিপি-এর অধীন সিপিটিইউ’র নিযুক্ত পরামর্শক হিসাবে বিগত চার বছরে ৪৮টি উপজেলায় নাগরিক সম্পৃক্ততা কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম বলেন ই-জিপি ডিজিটাল বাংলাদেশের প্রয়াসে একটি বড় অবদান রেখেছে। সেবা প্রদানে দ্রুত ফল পেতে ও ঝামেলা এড়াতে তিনি সরকারি কার্যক্রমে ডিজিটাল পদ্ধতির ওপর জোর দেন।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর, নাগরিক সম্পৃক্ততার তথ্য দেওয়ার জন্য সিপিটিইউ-এর নাগরিক পোর্টাল উদ্যোগের প্রশংসা করেন।
লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষয়ক বিভাগ, গণপূর্ত অধিদপ্তর, বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্ট্রি, ফরেন এইডেড প্রজেক্টস অডিট ডিরেক্টরেট, ইকোনমিক রিপোর্টার্স ফোরাম, ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ, অর্থনৈতিক বিভাগ এবং ইনস্টিটিউট অব আর্কিটেক্টস বাংলাদেশের প্রতিনিধিরা মুক্ত আলোচনায় অংশ নেন।
তারা সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন এবং বলেন এটা সরকারি ক্রয় কার্যক্রমের মান বাড়াতে সাহায্য করবে।
টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির খসড়া চূড়ান্তকরণ বিষয়ক কর্মশালা অনুষ্ঠিত
16/03/2023
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি
১৬ মার্চ ২০২৩ ঢাকা: টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির খসড়া চূড়ান্তকরণের লক্ষ্যে ১৬ মার্চ ২০২৩ তারিখে এনইসি সম্মেলন কক্ষে একটি কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) কর্মশালাটি আয়োজন করেছে।
প্রতিমন্ত্রী, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় অধ্যাপক ড. শামসুল আলম কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এতে সভাপতিত্ব করেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। সভাপতি স্বাগত বক্তব্য দেন এবং সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী খসড়া টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির ওপর মূল উপস্থাপনা পেশ করেন।
আহসান আলী, লীড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট, বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিস এবং ডিমেপ টাস্ক টিম লিডার ও বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট মোস্তাফিজুর রহমান খসড়া টেকসই সরকারি ক্রয় নীতির বিষয়ে বক্তব্য রাখেন।
সরকারি ক্রয়ে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত দিক বিবেচনাসহ আরও কিছু মৌলিক বিষয় যুক্ত করার উদ্দেশ্যে এই টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি প্রণয়ন করা হয়েছে। কর্মশালায় উপস্থিত বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, সিপিটিইউ’র ডিমেপ প্রকল্পের আওতায় নির্বাচিত সরকারি ক্রয়কারী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধিবৃন্দ ওই খসড়া নীতির বিষয়ে মতামত ব্যক্ত করেন।
এ সকল মতামতের ভিত্তিতে সিপিটিইউ এই নীতির খসড়া চূড়ান্ত করবে। উল্লেখ্য, ২০৩০ এর মধ্যে টেকসই সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সিপিটিইউ কাজ করছে। টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট ২০৩০ এর ১২.৭ এ সরকারি ক্রয়ে এসডিজি টার্গেট অর্জনের বিষয় উল্লেখ করা হয়েছে।
24/7 e-GP Help Desk at CPTU
02/08/2017
A dedicated 24-hour seven days help desk has been functioning at the Central Procurement Technical Unit (CPTU) of IMED, Ministry of Planning, for the smooth conduct of electronic government procurement (e-GP) in the country.
The e-GP Help Desk (helpdesk@eprocure.gov.bd), having a hunting number of +8809609 112233, is equipped with required resources and expertise. Recently, its capacity has been enhanced with more resources to cope with the growing number of registered and non-registered tenderers and procuring entities seeking support from various parts of the country.
Tenderers or PEs who are yet to register also want to know from the Help Desk about the process of registration and operation in e-GP. Those who are registered make queries to the Help Desk if they face any difficulty and problems while processing or participating in e-GP tenders.
The Help Desk members provide instant info, solutions and advices to them. However, if the queries are about specific explanations of any section of the Public Procurement Act or Rules, the help seekers are requested to refer it to CPTU authorities.
The government has decided to connect all procuring entities with e-GP system (www.eprocure.gov.bd) by December 2016. The CPTU has taken up an action plan to implement the decision.
The number of PEs and tenderers registering with the system is increasing day by day. The Help Desk is working non-stop 24 hours every-day to provide e-GP related information and solutions as and when the PEs and tenderers make queries on phone, email and mobile numbers.
45 banks now connected to e-GP
02/08/2017
45 banks now connected to e-GP
A total of 45 banks are now connected to electronic government procurement (e-GP) system.
The Central Procurement Technical Unit (CPTU) of Implementation Monitoring and Evaluation Division (IMED), Ministry of Planning, is implementing e-GP in the country.
The banks are connected to e-GP under MoUs signed with CPTU to receive fees from tenderers’ for registration, registration renewal and tender documents in the e-GP system.
On May 18, 2017, CPTU signed a MoU with the NRB Global Bank. With the signing of this MoU the number of banks linked to e-GP has stood at 45. About 3000 branches of such banks are providing services to tenderers across country.
Secretary-in Charge of IME Division Md Mofizul Islam presided over the meeting organized by CPTU at its conference room on the occasion of the signing ceremony.
Senior System Analyst Md Mosharraf Hussain anchored the programme and facilitated introduction of the participants. CPTU officers were also present.
Deputy Managing Director of NRB Global Bank Kazi Mashiur Rahman Jayhad, Senior Executive Vice President & Manager Ataus Samad and other officers represented the bank in the MoU signing ceremony.
Director General of CPTU and Additional Secretary Md Faruque Hossain said at the beginning of the e-GP we had to pursue banks to join the system. Now banks are coming forward to join e-GP as they have found it a potential sector of doing business.
Deputy Managing Director of NRB Global Bank said that this is a fourth generation bank. It has the policy of having branches on an equal basis in rural and urban areas. He sought cooperation of CPTU in the operation of services for e-GP.
The IMED Secretary requested the bank to provide smooth services to tenderers. He laid emphasis on digital, easy, safe and transparent transactions of banks in the country.
He said, “We have resource constraints and so we need to be careful about proper utilization money in public procurement.” Bangladesh now has an emerging economy and fiscal management needs to be prudent and transparent, he added.
The DG, CPTU and the Deputy Managing Director of NRB Global Bank signed the MoU on behalf of their respective sides.
21 new national trainers added to CPTU Trainers’ Pool
01/08/2017
The Central Procurement Technical Unit (CPTU) of Implementation Monitoring and Evaluation Division, Ministry of Planning, formally gave away letter of selection to 21 newly certified national trainers on public procurement at its conference room on November 6, 2016.
With the latest addition, the total number of national certified trainers of CPTU on public procurement has now stood at 60.
The new trainers were selected through a rigorous selection process conducted at CPTU by ITC-ILO Turin University some months back.
The Director General of CPTU Md Faruque Hossain briefed the new national trainers on the occasion of giving away the letter of selection along with a code of conduct.
Director (Coordination) Md. Helal Uddin, Director (Rules & Training) Wahedun- Nabi Sarker, Director (e-GP) Aziz Taher Khan and Training Coordinator K. M. Ali Newaz of CPTU were present during the briefing.
The DG, CPTU said that this is a short briefing for the new trainers as they are now ready to conduct training on public procurement. “We are planning to provide them further orientation on various issues including modules, documents etc. in December 2016. Later, there will be orientation for them on e-GP,” he noted.
Md Faruque Hossain said the trainers need to be aware of e-GP issues but the basis of public procurement is the law and rules. Therefore, they have to be conversant with the provisions of the Public Procurement Act-2006 and the Public Procurement Rules-2008.
He said that the new trainers need to sharpen their skills and remain updated about national and international practices in the domain of public procurement.
The trainers proposed a professional platform for the national trainers on public procurement and exchange of knowledge among themselves. The DG, CPTU said he would take such issues into consideration.
The DG, CPTU further said that a few trainers are not active now. “We have decided to remove the name and photo of those remaining inactive for three years, from the CPTU website,” he mentioned.