News
Title | : | ই-জিপি প্রশিক্ষণের দাবি জানালেন নারী দরপত্রদাতারা |
---|---|---|
Description | : | ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে অনুষ্ঠিত এক কর্মশালায় নারী উদ্যোক্তা ও দরপত্রদাতারা তাদের জন্য বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) প্রবর্তিত ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের উপর আরও প্রশিক্ষণ আয়োজনের দাবি জানান। বিপিপিএ দরপত্রদাতাদের জন্য ই-জিপি বিষয়ে একদিনের প্রশিক্ষণ প্রদান করছে। তবে নারী দরপত্রদাতারা এই প্রশিক্ষণের সময়কাল আরও বাড়ানোর দাবি জানান। বিপিপিএ তাদের এই দাবির প্রতি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে। বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন ক্যাম্পাসে বিপিপিএ ভবনের সম্মেলন কক্ষে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার উদ্দেশ্য ছিলো সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় নারীদের অংশগ্রহণকে উৎসাহিত করা। বিপিপিএ-এর যোগাযোগ কর্মসূচির অংশ হিসাবে এই কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে, যেখানে বিপিপিএ-এর কার্যাবলী ও ই-জিপির অগ্রগতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়। ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত প্রায় ৪০ জন নারী উদ্যোক্তা কর্মশালায় অংশ নেন। এই কর্মশালা ই-জিপি ও সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নারীদের জন্য নতুন সুযোগ তৈরি করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে। বিপিপিএ-এর বাস্তবায়নাধীন ডাইম্যাপ প্রকল্পের অধীনে আয়োজিত এই কর্মশালা বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)’র ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালার শুরুতে বিপিপিএ এর পরিচালক মিস লাবণী চাকমা স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন। এরপর বিপিপিএ এর পরিচালক জনাব মোঃ সাখাওয়াত হোসেন বিপিপিএ এর কার্যাবলী, টেকসই সরকারি ক্রয়, ই-জিপির অগ্রগতি এবং সরকারি ক্রয়ে নারীদের অংশগ্রহণ নিয়ে একটি বিশদ উপস্থাপনা করেন। কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সচিব জনাব আবুল কাসেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিপিপিএ এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন এবং সমাপনী বক্তব্য প্রদান করেন। বিপিপিএ-এর অন্যান্য কর্মকর্তারাও কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। উপস্থাপনার পরে অংশগ্রহণকারীরা তাদের অভিজ্ঞতা, চ্যালেঞ্জ এবং ই-জিপি ও সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ার সম্ভাবনা নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করেন। এছাড়াও তারা নারীদের সরকারি ক্রয়ে অংশগ্রহণ আরও সহজ করার জন্য কিছু প্রস্তাব দেন। আইএমইডি সচিব বলেন, ক্রয় আইন, বিধিমালা ও ই-জিপি নির্দেশিকা সংশোধন করার সময় এসব প্রস্তাব বিবেচনা করা হবে। বিপিপিএ এর সিইও জানান, বিশ্বব্যাপী উদ্যোক্তাদের মাত্র ৪০ শতাংশ নারী উদ্যোক্তা। থাইল্যান্ডে এর হার তাদের উদ্যোক্তাদের ২৬ শতাংশ, ভারতে ২২ শতাংশ, আর বাংলাদেশে মাত্র ৭.৩ শতাংশ। বিপিপিএ-এর ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত নারী দরপত্রদাতার সংখ্যা ৪,২০৫ । ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত মোট দরপত্রদাতার সংখ্যা এখন ১,১৬,১১৯। বিপিপিএ পূর্বেও সরকারি ক্রয়ে নারীদের অংশগ্রহণ বাড়ানোর লক্ষ্যে একই ধরনের কর্মশালা আয়োজন করেছে, যেখানে আইএমইডি সচিব নারী দরপত্রদাতাদের সাফল্যগাঁথা তুলে ধরার পরামর্শ দেন। এর ধারাবাহিকতায়, বিপিপিএ বেশ কয়েকটি সাফল্যগাঁথা সংগ্রহ করেছে। ই-জিপি প্ল্যাটফর্মে নারীদের সক্রিয় অংশগ্রহণ দেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ এবং এই কর্মশালা সেই প্রচেষ্টার একটি অংশ। বিপিপিএ ২০১১ সালে ই-জিপি চালু করেছে, যা এর নির্ভরযোগ্যতার জন্য ক্রয়কারী সংস্থা এবং দরপত্রদাতাদের কাছে ব্যাপকভাবে গৃহীত হয়েছে।
|
Publication Date | : | 22/09/2024 |