News
Title | : | উচ্চ-আয়ের দেশ হতে সরকারি বিনিয়োগে অপচয় রোধ করতে হবে: আইএমইডি সচিব |
---|---|---|
Description | : | সরকারি বিনিয়োগ ব্যবস্থাপনার দূর্বলতার কারনে বাংলাদেশের জিডিপির ক্ষতি হয়। তাই ২০৩১ সালের মধ্যে উচ্চ মধ্যম-আয়ের দেশ এবং ২০৪১ এর মধ্যে উচ্চ-আয়ের দেশ হতে হলে বাংলাদেশে সরকারি বিনিয়োগে অপচয় রোধ করতে হবে, ডিজিটাল ব্যবস্থাপনায় সরকারি ক্রয়ের মাধ্যমে অর্থ সাশ্রয় ও সময় বাঁচাতে হবে। পরিবেশ দূষণ কমাতে হবে। অর্থের অর্থমূল্য অর্জন করতে হবে। ১৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সচিব জনাব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন একথা বলেন। চলমান ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনায় টেকসই উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশ সরকার জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি)’র লক্ষ্য অর্জনে টেকসই সরকারি ক্রয় (Sustainable Public Procurement-SPP) সূচনা করার পথে অগ্রসর হচ্ছে। এর আওতায় পরিবেশ বান্ধব সরকারি ক্রয়কে উৎসাহিত করার নীতি গ্রহণ করা হয়েছে যা বিপিপিএ এখন বাস্তবায়ন করবে। বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) আয়োজিত বিপিপিএ'র কার্যাবলী ও ই-জিপি'র অগ্রগতি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিপিপিএ’র পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব মো. আকনুর রহমান পিএইচডি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, রাজশাহী বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) ড. দেওয়ান মুহাম্মদ হুমায়ুন কবীর এবং জেলা প্রশাসক জনাব শামীম আহমেদ। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জনাব আবু সালেহ মো. আশরাফুল আলম, রাজশাহী গণপূর্ত জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব ফেরদৌস শাহনেওয়াজ কান্তা, গণপূর্ত বিভাগ-২ রাজশাহীর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব মো. কাওসার সরকার, এলজিইডি রাজশাহীর সহকারী পরিচালক উম্মে আফিয়া মৌসুমী, রাজশাহী প্রেস ক্লাবের সভাপতি জনাব সাইদুর রহমান, পিডাব্লিউডিবি'র ঠিকাদার জনাব খাজা তারেকসহ ক্রয়কারী সংস্থা ও দরদাতা সরকারি ক্রয় ও ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। বিপিপিএ'র পরিচালক জনাব মো. আকনুর রহমান পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০০৮ অনুযায়ী ব্যাখ্যা প্রদান করেন। উল্লেখ্য, বিপিপিএ (পূর্বতন সিপিটিইউ) সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের জন্য ই-জিপি চালু করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালের ২ জুন ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। এর ফলে সরকারি ক্রয়ে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপি সিস্টেম উল্লেখযোগ্য সুফল বয়ে এনেছে। এছাড়াও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব কল্যাণ চৌধুরী, সোনালী সংবাদ পত্রিকার সম্পাদক জনাব মো. লিয়াকত আলী, সোনার দেশ পত্রিকার সম্পাদক জনাব আকবারুল হাসান মিল্লাত, আজকের পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক জনাব রিমন রহমান অংশগ্রহণ করেন। স্থানীয় ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, ব্যাংক ও গণমাধ্যমের প্রায় ৭৫ জন প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপি) এর আওতায় বিপিপিএ এই কর্মশালাটি আয়োজন করে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) বিপিপিএ কর্তৃক নিয়োজিত পরামর্শক হিসেবে কর্মশালাটি পরিচালনা করেছে। বিসিসিপি’র পরিচালক ও সিইও মোহাম্মদ শাহজাহান এবং প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও ডেপুটি সিইও ডা. জিনাত সুলতানা উপস্থিত ছিলেন। আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালের ০২ জুন ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেছেন। এরপর থেকে দেশে ই-জিপি’র ব্যবহার দ্রুত বেড়ে চলেছে। বর্তমান সরকারের রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে বিপিপিএ আপনাদের সকলের সহযোগিতায় ই-জিপি বাস্তবায়ন করছে। ২০২২ থেকে শুরু করে পরবর্তী সময়ে ই-জিপিতে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ মডিউল যুক্ত করা হয়েছে। ই-জিপি এখন একটি পূর্ণাংগ অনলাইন সিস্টেম। বর্তমানে দেশে মোট সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশই ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি বাস্তবায়নের ফলে সরকারি ক্রয়ে কিছু ইতিবাচক পরিবর্তনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময়ে ১০০ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে, দরপত্রের বৈধতার প্রাথমিক মেয়াদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে এবং ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে। ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারে প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে, দরপত্রদাতাদের ভ্রমণ দূরত্ব কমেছে ৪৯.৭ মিলিয়ন কিলোমিটার, ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে আর কার্বন নিঃসরণ কমেছে ১,৫৩,৫৫৯ টন, তিনি জানান। বিপিপিএ কর্তৃক নিয়োজিত দোহাটেক নিউ মিডিয়া প্রধান পরামর্শক হিসাবে, বেক্সিমকো আইটি এবং জিএসএস ইনফোটেকের সাথে ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও ব্যবস্হাপনা করে আসছে।
|
Publication Date | : | 24/07/2024 |