ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বাস্তবায়নের ফলে দেশে সরকারি ক্রয়ে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে।

বিপিপিএ এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) জনাব মো. নাছিমুর রহমান শরীফ প্রধান অতিথি হিসেবে পটুয়াখালী জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ৭ জুলাই ২০২৪ তারিখে "বিপিপিএ এর কার্যাবলী ও ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতা" শীর্ষক এক কর্মশালায় এসব অগ্রগতি বর্ণনা করেছেন।

ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপি) এর আওতায় বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এই কর্মশালাটি আয়োজন করে।

পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক জনাব মো. নূর কুতুবুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার জনাব মো. সাইদুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। 

জনাব শরীফ তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে, ই-জিপি কে একটি পূর্ণাংগ  অনলাইন সিস্টেমে পরিণত করার জন্য এতে কিছু নতুন মডিউল যুক্ত করা হয়েছে। তিনি বলেন, মোট সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ এখন ই-জিপি মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ই-জিপি সাফল্য সম্পর্কে জানার জন্য বিপিপিএ পরিদর্শন করেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি দেশে ই-জিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্জিত ইতিবাচক ফলাফলগুলিও উল্লেখ করেন।

• ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময়ে ১০০ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে।

• দরপত্রের বৈধতার প্রাথমিক মেয়াদের মধ্যে ৯৬ শতাংশ চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ইস্যু করা হচ্ছে।
• ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।
• ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারে প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে।
• দরপত্রদাতাদের ভ্রমণ দূরত্ব কমেছে ৪৯.৭ মিলিয়ন কিলোমিটার।
• ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে।
• কার্বন নিঃসরণ কমেছে ১,৫৩,৫৫৯ টন।

তিনি বলেন, ই-জিপি এখন সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ক্রয়কারী সংস্থাগুলির জন্য বাধ্যতামূলক। একই ধরনের একটি কর্মশালা ৮ জুলাই ২০২৪ তারিখে বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) বিপিপিএ কর্তৃক নিয়োজিত পরামর্শক হিসেবে কর্মশালাটি পরিচালনা করেছে।

স্থানীয় ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, ব্যাংক ও গণমাধ্যমের প্রায় ৭৫ জন প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কিছু ক্রয়কারী সংস্থা ও দরদাতা সরকারি ক্রয় ও ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। জনাব মো. নাসিমুর রহমান শরীফ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০০৮ অনুযায়ী ব্যাখ্যা প্রদান করেন।

বিপিপিএ (পূর্বতন সিপিটিইউ) সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের জন্য ই-জিপি চালু করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালের ২ জুন ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। বিপিপিএ কর্তৃক নিয়োজিত দোহাটেক নিউ মিডিয়া প্রধান পরামর্শক হিসাবে, বেক্সিমকো আইটি এবং জিএসএস ইনফোটেকের সাথে, ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।