News

Title : ই-জিপি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সিস্টেম: পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী
Description :

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) প্রবর্তিত ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের ব্যাপক প্রশংসা করেছেন মাননীয় পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী জনাব মো. শহীদুজ্জামান সরকার, এমপি। তিনি বলেছেন, ই-জিপি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।

১২ মে ২০২৪ তারিখে ঢাকায় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস ফোরাম অব বাংলাদেশ (আইবিএফবি) আয়োজিত 'সরকারি ক্রয় আইন: চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনাসমূহ' শীর্ষক সেমিনারে তিনি একথা বলেন। আইবিএফবির সম্মেলনে কক্ষে এ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী বলেন, সরকারি ক্রয়ের একদম প্রাথমিক পর্যায় থেকেই স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে সরকার ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) চালু করেছে। তবে স্বচ্ছতা-জবাবদিহিতার ক্ষেত্রে আরও অনেক দূর যেতে হবে।

তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে দেশে উচ্চ নৈতিকতার মানুষ প্রয়োজন। সরকারি ক্রয় বিষয়ে সেমিনারে অংশীজনদের কাছ থেকে আসা সুপারিশ, অভিযোগ এবং দাবিগুলো বিবেচনার আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় থাকা কর কাঠামোতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বৈষম্যের স্বীকার হয়। এক্ষেত্রে সমান সুযোগ তৈরি করতে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সমান হারে কর আরোপের পরামর্শ দেন তারা।

অনুষ্ঠানে বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী বলেন, দেশে শতভাগ সরকারি ক্রয় ই-জিপি সিস্টেমের আওতায় আনতে চান তারা। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়ের চ্যালেঞ্জগুলো চিহ্নিত করে সে অনুসারে সময়ে সময়ে পদক্ষেপ নিয়ে থাকে বিপিপিএ। ক্রয় সম্পর্কিত অভিযোগ প্রতিকার ব্যবস্থাকে আরও সহজ করতে একে তিন স্তরের পরিবর্তে এক স্তরে নিয়ে আসা হবে বলেও জানান তিনি।

সেমিনারে ‘সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা: বাংলাদেশ পরিপ্রেক্ষিত’ শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিশ্বব্যাংকের সাবেক লিড প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট ড. জাফরুল ইসলাম।  তিনি বলেন, বাংলাদেশে ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের ক্ষেত্রে স্বার্থের সংঘাত বড় একটি উদ্বেগের বিষয়। সরকারি কর্মকর্তা এবং ঠিকাদার ও পরাশর্কের সঙ্গে অপ্রাতিষ্ঠানিক বা অঘোষিত সম্পর্ক থেকে এই স্বার্থের সংঘাত তৈরি হয়।

যে কোনো ধরনের আইন বা বিধি প্রণয়নে অংশীজনদের পরামর্শ নিতে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটির (বিপিপিএ) প্রতি আহ্বান জানান জাফরুল ইসলাম।

নির্মাণ প্রকল্প বাস্তবায়নে সম্পদ ও সময়ের অপচয় কমাতে অর্থবছরে সংস্কার আনার সুপারিশ করেন আইবিএফবির উপদেষ্টা ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) সাবেক চেয়ারম্যান জনাব মোহাম্মদ আবদুল মজিদ। কর কাঠামোতে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলো বৈষম্যের স্বীকার হয় উল্লেখ করে দেশি ও বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সমান হারে কর আরোপের ওপর জোর দেন তিনি।

আইবিএফবির ভাইস প্রেসিডেন্ট জনাব এম এস সিদ্দিকী আমদানিসহ সব পর্যায়ে সমন্বিত কর আরোপের আহ্বান জানান। এ ছাড়া সরকারি ক্রয় টেকসই করতে দীর্ঘমেয়াদে প্রতিযোগিতা নিশ্চিতের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক মুহাম্মদ শাহাদাত হোসেন সিদ্দিকী সরকারি ক্রয়ে সমতা নিশ্চিতের আহ্বান জানান।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাস্টির (বিএসিআই) উপদেষ্টা জনাব এসএম খোরশেদ আলম বলেন, ক্রয় প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতা নয়, বরং কাজের সক্ষমতাকেই বেশি বিবেচনায় নেওয়া উচিত। তিনি ক্রয় প্রক্রিয়ায় সর্বনিম্ন দরদাতাদের কাজ প্রদান সম্পর্কিত বিধান বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেন।

ম্যানুফেকচারার্স অ্যাসোসিয়েশন ফর ট্রান্সফরমার অ্যান্ড সুইচগিয়ারের (এমএটিএস) সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী রবিউল আলম সরকারি ক্রয়ে অ্যাওয়ার্ড প্রদানের ক্ষেত্রে স্থানীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানান।

সেমিনারে স্বাগত বক্তব্য দেন আইবিএফবির সভাপতি জনাব হুমায়ুন রশীদ।

Publication Date : 16/05/2024