News

Title : ই-জিপির সাফল্য সারাবিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে
Description :

রূপকল্প ২০৪১ অনুযায়ী স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার অংশ হিসেবে ৮ম পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনা ও প্রেক্ষিত পরিকল্পনার আওতায় টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে সরকার কাজ করছে।

সেজন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে জনগণের অর্থের সবোর্ত্তম ব্যবহার নিশ্চিত করতে সর্বাধিক স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার সাথে সরকারি ক্রয় পরিচালনা করতে হবে।

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এর পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান এ আহ্বান জানান।

তিনি ১৬ই মে ২০২৪ (বৃহস্পতিবার) নেত্রকোনা জেলায় বিপিপিএ’র কার্যাবলী ও ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালার প্রধান অতিথি হিসাবে একথা বলেন।

নেত্রকোনার অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) জনাব রাফিকুজ্জামান কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন। বিপিপিএ’র ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডাইম্যাপ) এর অধীনে কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস্ (বিসিসিপি) কর্মশালা আয়োজনে সহায়তা করে।

কর্মশালায় বিভিন্ন সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, দরপত্রদাতা এবং সাংবাদিকগণ অংশগ্রহণ করেন। বিসিসিপির প্রোগ্রাম ডিরেক্টর ও ডেপুটি সিইও ডা. জিনাত সুলতানা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড্ করার কারণে এর ব্যাপক ব্যবহার বেড়েছে উল্লেখ করে মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে। ই-জিপি চালুর ফলে সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৭.৭ দিন থেকে ৫৭ দিনে নেমে এসেছে। ১০০ শতাংশ দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি ও চুক্তি সম্পাদন নোটিশ ই-জিপি সিস্টেমে প্রকাশ করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহারের মাধ্যমে প্রতিবছর ৬০০ মিলিয়ন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে আর ১০৫ কোটি ৩০ লাখ পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১.৫৪ লাখ টন কার্বন নিঃসরণ কমিয়েছে।

সরকারি ক্রয়ে চুক্তি ব্যবস্থাপনাও এখন ই-জিপির মাধ্যমে হচ্ছে। বাংলাদেশে ই-জিপি’র অগ্রগতি সারাবিশ্বে প্রশংসা কুড়িয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক ও বিদেশি সংস্থার প্রতিনিধিরা ই-জিপি সিস্টেমের সফলতা সম্পর্কে জানতে বিপিপিএ পরিদর্শন করেছে। ই-জিপি সিস্টেম ৪টি আন্তর্জাতিক আইএসও সনদও পেয়েছে।

 

Publication Date : 19/05/2024