News
Title | : | ই-জিপিতে নিবন্ধিত নারী দরদাতার সংখ্যা ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ৩৩৮৮ |
---|---|---|
Description | : | ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে নিবন্ধিত নারী মালিকানাধীন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৩৩৮৮টি। নবগঠিত বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)-এর প্রথম প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মোঃ শোহেলের রহমান চৌধুরী ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ তারিখে বিপিপিএ তে নারী দরদাতাদের নিয়ে সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা বিষয়ক এক কর্মশালায় এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, বর্তমানে ই-জিপিতে নিবন্ধিত মোট দরদাতার সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ১১ হাজার। নিবন্ধিত নারী মালীকানাধীন দরদাতা প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা এখন অনেক কম হলেও আমরা আশাবাদী যে এ সংখ্যা ক্রমান্বয়ে বাড়বে। বিপিপিএ সে লক্ষ্যে কাজ করছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। বিপিপিএ কর্তৃক বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাইজিং ইপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (ডিম্যাপ) প্রকল্পের আওতায় "সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা" শীর্ষক কর্মশালায় বিভিন্ন ব্যবসায়িক সংগঠন ও দরদাতা প্রতিষ্ঠানের নারী প্রতিনিধি ও উদ্যোক্তারা ওই কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বিপিপিএ কর্মশালাটি আয়োজন করে। বিপিপির'র নিয়োগকৃত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিনেট কর্মশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনা করে। বিপিপিএ'র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব জনাব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিষ্ট জনাব আরাফাত ইশতিয়াক। বিপিপিএ'র পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, সরকার সম্প্রতি টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি জারি করেছে। যার আওতায় বিপিপিএ এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের জন্য দেশে টেকসই সরকারি ক্রয় বাস্তবায়ন করবে। এ নীতির আওতায় সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক, সামাজিক ও পরিবেশগত বিষয়গুলো বিবেচনায় নেয়া হবে। নারী উদ্যোক্তা ও নারী দরদাতাদের অগ্রাধিকার প্রদানের বিষয়টিও বিবেচনায় নেয়া হবে। কর্মশালায় সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততার জন্য বিপিপিএ'র প্রবর্তিত সরকারি ক্রয় বাতায়ন বা সিটিজেন পোর্টালের উপর উপস্থাপনা পেশ করেন ডিনেটের আন্দলিব বিন হক। নারী দরদাতারা সিটিজেন পোর্টালের প্রশংসা করেন। এ পোর্টালে তারা নারী দরদাতাদের সম্পর্কে ডাটা রাখার দাবী করেন। সরকারি ক্রয়ের বিভিন্ন বিষয়েও তারা মতামত ব্যক্ত করেন। আইএমইডি'র সচিব বলেন, "আমরা নারী উদ্যোক্তাদের সবগুলো দাবীই বিবেচনায় রাখব। আমরা চাই তাদের সংখ্যা আরো বৃদ্ধি পাক। আমরা অধিক সংখ্যক নারীদের সরকারি ক্রয়ে আনতে চাই। তিনি বলেন, এরই ধারাবাহিকতায় আজ শুধুমাত্র নারী দরদাতাদের নিয়ে এ কর্মশালা আয়োজন করা হয়েছে। আমরা অন্যান্য অংশীজনের সংগেও সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততার বিষয়ে মত বিনিময় করছি”। সরকারি ক্রয় বাতায়ন একটি ডিজিটাল প্লাটফরম যা বিপিপিএ ২০২০ সালে সকলের জন্য উন্মুক্ত করেছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বিপিপিএ ডিম্যাপ প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বর্তমানে দেশে জাতীয় বাজেটের শতকরা ৪০ ভাগ ও এডিপি’র শতকরা ৮০ ভাগ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। সরকারি ক্রয়ে বর্তমানে বছরে প্রায় ৩০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যে ২০১১ সালের ২ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপি পোর্টালের উদ্বোধন করেন। শুরু থেকেই সরকারি ক্রয়কারি কার্যালয় ও দেশের দরদাতাগণ সানন্দে এ ডিজিটাল সিস্টেম গ্রহণ করে। ১৭ ডিসেম্বর ২০২৩ পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে ৭৬১,১৪৬টি দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে যার প্রাক্কলিত ব্যয় ৭৯২,৬৬৪ কোটি টাকা। এ সংখ্যা ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে বছরে ৪০০ কোটি টাকা সরকারের রাজস্ব আয় হয়। জনগণের অর্থে জনগণের কল্যাণে সরকারি ক্রয় করা হয়। সে কারণে সরকারি ক্রয় সম্পর্কে জানা নাগরিকদের অধিকার। নাগরিকদের সে অধিকার পূরণে বিপিপিএ সিটিজেন পোর্টাল চালু করেছে। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার অধিকতর উন্নয়ন ও দেশে একটি টেকসই সরকারি ক্রয় পরিবেশ গড়ে তোলার লক্ষ্যে সরকার বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি, ২০২৩ আইনের আওতায় সম্প্রতি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-কে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)-তে রূপান্তর করেছে।
|
Publication Date | : | 19/12/2023 |