News

Title : সকল সরকারি ক্রয়কারীকে ই-জিপি ব্যবহারের আহ্বান
Description :

সরকার ইতোমধ্যে দেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার ব্যাপক সংস্কার করেছে এবং ক্রয় আইনের প্রয়োজনীয় সংশোধনের মাধ্যমে অধিকতর সংস্কার প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিইউরমেন্ট (ই-জিপি) একটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় প্রক্রিয়া হওয়ার ফলে সরকারি ক্রয়কারি সংস্থা ও দরপত্রদাতাসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে গ্রহনযোগ্য হয়েছে। ফলে, বতর্মানে দেশের মোট সরকারি ক্রয়ের ৬৫ ভাগই ই-জিপি’র মাধ্যমে হয়।

সাংবাদিকদের জন্য সরকারি ক্রয় ও ই-জিপি বিষয়ক ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে আইএমইডি সচিব জনাব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন একথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিইউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডাইম্যাপ) এর আওতায় ২৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ এই প্রোগ্রামের আয়োজন করে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউ ডাইম্যাপ বাস্তবায়ন করছে।

সিপিটিইউ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত এই কর্মশালায় সিপিটিইউ-এর মহাপরিচালক জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী সভাপতিত্ব করেন। কর্মশালায় বিভিন্ন মিডিয়া হাউজের ৩৩ জন সাংবাদিক অংশগ্রহন করেন।

মাসুদ আকতার খান, অতিরিক্ত সচিব, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ক্রয় বিশেষজ্ঞ, একটি উপস্থাপনার মাধ্যমে সরকারি ক্রয় ও ই-জিপি বিষয়ে সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন।

সভাপতির বক্তব্যে মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী বলেন, সিপিটিইউ দেশে ই-জিপি তথা সরকারি ক্রয় আইনের বাস্তবায়ন তদারক করছে। তারই অংশ হিসেবে ই-জিপিকে আরো কার্যকর করার উদ্দেশ্যে সাম্প্রতিক সময়ে বেশকিছু উল্লেখযোগ্য মডিউল সংযোজন করা হয়েছে। ফলে ক্রয় পরিকল্পনা থেকে চুক্তি বাস্তবায়ন ব্যবস্থাপনা পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়াই এখন অনলাইনে করা যায়। সকল সরকারি ক্রয়কারীকে তিনি ই-জিপি ব্যবহারের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, টেন্ডারার্স ডাটাবেজ, এ-চালান, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম), আন্তর্জাতিক দরপত্র মডিউল, ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই-সিএমএস), ইলেকট্রনিক অডিট (ই-অডিট) এবং ই-জিপিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে (এনআইডি) সমন্বিতকরণসহ এসব গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড করেছে।

 

Publication Date : 26/09/2023