News
Title | : | ‘সরকারি ক্রয়ে অর্থের সঠিক মূল্য অর্জনে ই-জিপির ভূমিকা ব্যাপক’ |
---|---|---|
Description | : | সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সরকার ইলেক্ট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপি বাস্তবায়নে বিরাট অগ্রগতি অর্জন করেছে, যা অর্থ সাশ্রয় ও সময় বাঁচানোর পাশাপাশি পরিবেশ রক্ষায়ও ভূমিকা রাখছে। এর ফলে জনগণের অর্থের প্রকৃত মূল্য অর্জন সম্ভব হচ্ছে, যা ২০৪১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে কার্যকর অবদান রাখবে। পরিকল্পনা মন্ত্রনালয়ের অধীন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)-এর পরিচালক (যুগ্ম-সচিব) জনাব মো. আকনুর রহমান, পিএইচডি, পঞ্চগড়ে ৩০ জুলাই ২০২৩ তারিখে অনুষ্ঠিত গভর্নমেন্ট টেন্ডারার্স ফোরাম (জিটিএফ)-এর কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. জহুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে উপস্হিত ছিলেন জনাব এস. এম. শফিকুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ). ডা. মোস্তফা জামান চৌধুরী, সিভিল সার্জন, জনাব মোঃ আজাদ জাহান, উপ-পরিচালক, স্থানীয় সরকার, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, জনাব মো. আব্দুল কাদের, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), জনাব মো. রিয়াজ উদ্দিন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) এবং বোদা, আটোয়ারী, পঞ্চগড় সদর, দেবীগঞ্জ ও তেতুলিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তাগণ । বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডিআইএমএপিপি) এর আওতায় কর্মশালাটির ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিল বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি)। জনাব বাদল কৃষ্ণ হালদার, উপপরিচালক, বিসিসিপি, কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং জিটিএফ-এর ওপর একটি উপস্থাপনা পেশ করেন। অনুষ্ঠানে জেলার জিটিএফ সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। বিসিসিপির প্রোগ্রাম ম্যানেজার জনাব মোহাম্মদ আব্দুস সালাম অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন। ই-জিপি বাস্তবায়নে জিটিএফ-এর গুরুত্ব তুলে ধরে মো. আকনুর রহমান বলেন, ক্রয়কাজে কোন সমস্যা সৃষ্টি হলে ক্রয়কারী ও ঠিকাদারগণ পরস্পরের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে সেসব দূর করে উন্নয়ন কাজকে বেগবান করতে পারেন। এ উদ্দেশ্যেই জিটিএফ গঠন করা হয়েছে। তিনি বলেন, সরকারের অন্যতম একটি অগ্রাধিকার ক্রয়কাজে ই-জিপির ব্যবহার। বর্তমানে দেশে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের বড় অংশই ই-জিপির মাধ্যমে সম্পন্ন হচ্ছে । ইজিপি’র ফলে অনেক বাড়তি কাজ কমে গেছে কারণ সরকারি ক্রয়কাজ সহজ ও দ্রুত করার জন্য এ সেবা ডিজিটাইজড করা হয়েছে। এক দশকে ই-জিপির অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, ২০১১ সাল থেকে এ পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা ৭ লক্ষ ১৭ হাজার ছাড়িয়েছে এবং ১০৬,৭৫৬ এর অধিক দরদাতা ই-জিপিতে নিবন্ধিত হয়েছেন। ১,৪৩৭ টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থা ই-জিপিতে নিবন্ধিত হয়েছে। মাগুরার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট জনাব মো. জহুরুল ইসলাম বলেন, জিটিএফ ক্রয়কারী ও দরদাতাদের একটি দ্বিপাক্ষিক প্লাটফর্ম যা সরকারি বিভিন্ন ক্রয়চুক্তির সুষ্ঠু বাস্তবায়নে ভূমিকা রাখে। তিনি বলেন, এখন ই-জিপিতে ই-সিএমএস, দরদাতা ডাটাবেজ, আইসিবি, অডিট ম্যানুয়েল ও iBAS++ যুক্ত হয়েছে। এসবের ব্যাপক ব্যবহারের মাধ্যমে ই-জিপি পূর্ণতা পাবে। দরদাতাগণ এখন ই-জিপি নিবন্ধন, নবায়ন এবং দরপত্র জামানত ও ডকুমেন্ট ক্রয়ের ফি iBAS++ এর মাধ্যমেও দিতে পারেন। |
Publication Date | : | 31/07/2023 |