News
Title | : | বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি ক্রয় বিষয়ে কোর্স চালুর পরামর্শ |
---|---|---|
Description | : | প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের পরিমান। বিষয়টির ব্যাপক গুরুত্ব বিবেচনায় দেশের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি ক্রয় বিষয়ে আলাদা কোর্স বা বিষয় চালু করা যেতে পারে। গত ৫ মার্চ ২০২৩ তারিখে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) এ সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে সরকারি কর্মকর্তাদের জন্য বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত প্রশিক্ষণ কোর্সের লার্নিং সেশনের উন্মুক্ত আলোচনায় এসব কথা বলা হয়। বিভিন্ন দপ্তরের মোট ২৫ জন সরকারি কর্মকর্তা বিসিএস প্রশাসন একাডেমি আয়োজিত সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনা বিষয়ে ৩৪ তম কোর্সে অংশ নেন। প্রশিক্ষণ শেষ করার আগে এর অংশ হিসেবে সিপিটিইউতে একটি লার্নিং সেশনে অংশগ্রহণ করেন তাঁরা। সিপিটিইউর মহাপরিচালক জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী লার্নিং সেশনে সভাপতিত্ব করেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা ছাড়াও সরকারি ক্রয়ের পেশাদারিত্ব বিষয়ে একটি উপস্থাপনা পেশ করেন সিপিটিইউর পরিচালক জনাব মাসুদ আকতার খান। উপস্থিত ছিলেন সিপিটিইউর পরিচালক জনাব মোঃ শামীমুল হক ও মো. নাছিমুর রহমান শরীফ এবং বিসিএস প্রশাসন একাডেমির উপ পরিচালক (প্রশিক্ষণ) জনাব সোহেল রানা। জনাব মাসুদ আকতার খান তার উপস্থাপনায় ২০০২ সাল থেকে সরকারি ক্রয়ে অব্যাহত সংস্কারের ওপর আলোকপাত করেন। তিনি বলেন, সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত কাজ এখন একটি পেশা হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে। সিপিটিইউ এজন্য অনেক কাজ করেছে। তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর পর জাতীয় বাজেটের আকার ছিল মাত্র ৭৮৬ কোটি টাকা। চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে জাতীয় বাজেটের আকার বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৭৮ হাজার কোটি টাকা। এখন বছরে ৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। তাই জনগণের অর্থ ব্যয়ের ক্ষেত্রে অর্থের অর্থমূল্য নিশ্চিত করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দেশে সরকারি ক্রয় বিষয়ে দক্ষতা উন্নয়ন ও পেশাদারিত্বের উন্নয়নে সিপিটিইউর নেওয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা তুলে ধরেন তিনি। সিপিটিইউর মহাপরিচালক জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী বলেন, ডিজিটাইজেশনের মাধ্যমে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের পথে নানা কার্যক্রম নিয়ে এগুচ্ছে সিপিটিইউ। দেশে সরকারি ক্রয় পুরোপুরি কাগজবিহীন করার প্রক্রিয়া চলছে। তিনি বলেন, প্রতিবছর জাতীয় বাজেটের আকার বাড়ছে। তাই সরকারি ক্রয়ের পরিমাণ ও গুরুত্বও বাড়ছে। তিনি সাম্প্রতিক সময়ে ই-জিপি সিস্টেমে নতুন কিছু বিষয় যুক্ত করার কথা উল্লেখ করেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে- ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই-সিএমএস), সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম), আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র (আইসিটি), আইবাস++ ও জাতীয় পরিচয়পত্র এর সাথে ই-জিপির সমন্বয়, ও দরপত্রদাতাদের তথ্যভান্ডার। এছাড়াও তিনি জানান, টেকসই সরকারি ক্রয় নীতি এবং ই-জিপিকে ভ্যাট ও টিআইএনের সঙ্গে সমন্বয় করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। উন্মুক্ত আলোচনায় বক্তারা বিশ্ববিদ্যালয়ে সরকারি ক্রয় বিষয়ে আলাদা কোর্স বা বিষয় চালুর প্রস্তাবটি তুলে ধরেন। সিপিটিইউর মহাপরিচালক বলেন, এটি খুবই ভালো একটি প্রস্তাব। সরকারি ক্রয় একাডেমিক বিষয় হিসেবে চালুর এখনই উপযুক্ত সময়। তিনি বলেন, ‘আমরা সিপিটিইউর পক্ষ থেকে এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে চিঠি লিখব।’ এমসিআইপিএস কোর্স বিষয়ে সিপিটিইউ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়কে সহায়তা করছে বলেও জানান তিনি। সিপিটিইউর পরিচালক জনাব মোঃ শামীমুল হক জানান, সম্প্রতি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজনেস স্টাডিজ ফ্যাকাল্টি সরকারি ক্রয় বিষয়ে একটি ক্রেডিট কোর্স চালুর বিষয়ে ইতিবাচক মনোভাব দেখিয়েছে। এছাড়া সরকারি ক্রয়ে গুণগত মান নিশ্চিত করা, ই-জিপি হেল্পডেস্ক, ক্রয় প্রক্রিয়ার বিভিন্ন আইনি দিক, টেকনিক্যাল সাব-কমিটি ইত্যাদি বিষয়েও আলোচনা করেন বক্তারা। |
Publication Date | : | 06/03/2023 |