News

Title : ‘ই-জিপি স্মার্ট বাংলাদেশের কার্যকর সংযোজন’: খাগড়াছড়িতে জিটিএফ কর্মশালা অনুষ্ঠিত
Description :

“ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ইজিপি) সিস্টেম স্মার্ট বাংলাদেশের একটি কার্যকর সংযোজন। সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে এগুচ্ছে । দেশের বাজেট এখন বিশাল, যা ৬.৭৮ ট্রিলিয়ন টাকার বেশি। এত বিশাল অংকের বাজেট বাস্তবায়নে যদি স্মার্টনেস না থাকে এবং ম্যানুয়ালি সব কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়, তাহলে অবশ্যই বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।”

খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ সহিদুজ্জামান জেলার গভর্নমেন্ট-টেন্ডারার্স ফোরাম (জিটিএফ) এর এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন।

পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড ইভালুয়েশন ডিপার্টমেন্টের (আইএমইডি) অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) এই কর্মশালার আয়োজন করে।

বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডিআইএমএপিপি) আওতায় বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামসের (বিসিসিপি) কর্মশালার আয়োজন করে। খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন সিপিটিইউর সিনিয়র সিস্টেম এনালিস্ট মো. মোশাররফ হোসেন।

জিটিএফ-এর উল্লেখযোগ্য উপযোগিতা উল্লেখ করে মোঃ সহিদুজ্জামান বলেন বলেন,“আমি জানতে পেরেছি যে ৬৪টি জেলায় জিটিএফ গঠন করা হয়েছে, যা সত্যিই একটি বিশাল কাজ। ক্রয়কারী সংস্থা এবং দরপত্রদাতাদের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন তৈরীতে সহায়তা করার জন্য জিটিএফ গঠনের ধারণাটি অসাধারণ এবং তা বাস্তবায়নের জন্য উদ্ভাবনী অবদানের জন্য সিপিটিইউ এর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই।”

জিটিএফ ক্রয়কারী সংস্থা এবং দরপত্রদাতাদের মধ্যে ব্যবধান কমিয়ে তাদের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা স্থাপনে সহায়তা করবে। অতীতে দরপত্র জমাদানকে কেন্দ্র করে বেশ অনাকাংখিত ঘটনা ঘটত এবং অনেক দরপত্রদাতা দরপত্র জমা দিতে পারতেন না জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ই-জিপির মাধ্যমে যে কোন নিবন্ধিত দরপত্রদাতা যে কোন জায়গা থেকে টেন্ডারে অংশ নিতে পারে, যা আগে কঠিন ছিল। আগে দরপত্রদাতাদের এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হতো না কিন্তু এখন এই ঝামেলা অনেকটাই কমেছে।

মো. মোশাররফ হোসেন বলেন, “জিটিএফ-এর মাধ্যমে আমরা ই-জিপি এবং এর বৈশিষ্ট্যের দিকে নজর দিতে চাই। ১৯৯৯ সালে আমরা প্রথম সরকারী ক্রয়ের ক্ষেত্রে অসংখ্য সমস্যা চিহ্নিত করেছিলাম কারণ তখন ক্রয়কার্যের জন্য কোন আইনি কাঠামো ছিল না। অনেক প্রস্তুতির পর ২০১১ সালে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইজিপি উদ্বোধন করেন।“ তিনি আরো বলেন, দেশের উন্নয়নকে এগিয়ে নিতে এখন ই-জিপি একটি সম্পূর্ণ ডিজিটাইজড সিস্টেমে পরিণত হয়েছে।

২৯ জন ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধি, ২৭ জন দরপত্রদাতা, ৯ সাংবাদিক, ৪ জন ব্যাংকার সহ মোট ৭১ জন কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন যা প্রাণবন্ত আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্মে পরিণত হয়। অংশগ্রহণকারীরা, বিশেষ করে দরপত্রদাতা, সুশীল সমাজের সদস্য এবং সাংবাদিকরা তাদের পর্যবেক্ষণ দেন এবং বিভিন্ন প্রশ্ন করেন। কর্মশালায় খাগড়াছড়ি জিটিএফ কমিটি পুনর্গঠন করা হয়।

 

Publication Date : 23/02/2023