News
Title | : | ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণে “ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট”এর আওতায় সম্পাদিত প্রধান কার্যক্রমসমূহ |
---|---|---|
Description | : | তারিখঃ ২৯ ডিসেম্বর ২০২২ স্থানঃ সিপিটিইউ সম্মেলন কক্ষ সময়ঃ বিকাল ৩:০০টা
শ্রদ্ধাবনত চিত্তে আমরা স্মরণ করছি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম- যার হাত ধরে ১৯৭৫ সালের জানুয়ারী মাসে ‘প্রকল্প বাস্তবায়ন ব্যুরো’ (পিআইবি) সৃষ্টি করা হয়। পরবর্তীতে দায়িত্ব ও কর্মপরিধি বৃদ্ধি পাওয়ায় ১৯৮৪ সালে পিআইবিকে আইএমইডি নামে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অধীন ন্যস্ত করা হয়। দেশের সরকারি ক্রয়ের সার্বিক দেখভালের দায়িত্ব দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অনুমোদনক্রমে ২০০২ সালে আইএমইডিতে একটি ইউনিট হিসাবে প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট’। জাতির পিতার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত রুপকল্প ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণের অংশ হিসেবে তিনি নিজে ২০১১ সালের ২রা জুন সিপিটিইউ’র উদ্ভাবিত “জাতীয় ইলেকট্রনিক গভর্ণমেন্ট প্রকিউরমেন্ট পোর্টাল” উদ্ধোধন করেন। জাতীয় ইলেকট্রনিক গভর্ণমেন্ট প্রকিউরমেন্ট পোর্টাল: বর্তমানে ই-জিপির প্রসার অব্যাহত আছে। ২০২২ এর ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বানকৃত দরপত্রের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় লক্ষ (৬.৫ লক্ষ)। নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যাও এক লক্ষের বেশী। ৫৯টি ব্যাংকের ৬,৫০০ শাখার অধিক সারাদেশে দরদাতাদের পেমেন্ট সেবা দিচ্ছে। অনলাইনেও পেমেন্ট চলছে। বদ্বীপ পরিকল্পনা, রুপকল্প ২০৪১, পঞ্চবার্ষিক পরিকল্পনার সাথে সামঞ্জস্য রেখে প্রতিবছর বাজেটের আকার বৃদ্ধির সাথে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচী (এডিপি)’র বরাদ্দও বাড়ছে। সে সাথে বাড়ছে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়। বাজেটের ৪৫ শতাংশ ও এডিপি’র প্রায় ৮০ শতাংশ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় স্বচ্ছতা, জবাদিহিতা, দক্ষতা উন্নয়নসহ অবাধ প্রতিযোগিতা নিশ্চিত করাসহ ক্রয় ব্যবস্থাকে Paperless করা হচ্ছে। গত এক বছরে ই-জিপির পূর্ণ বাস্তবায়নের জন্য চালু করা হয়েছে ইলেক্ট্রনিক কট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট (e-CMS) সিস্টেম। দেশের সকল রেজিস্টার্ড টেন্ডারারের ডাটাবেজ তৈরি করা হয়েছে। প্রতিযোগিতামুলক আন্তর্জাতিক দরপত্রসমূহ (ICT) (Goods) e-GP তে প্রক্রিয়াকরণ করা সংক্রান্ত মডিউল চালু করা হয়েছে। ibass++ এর সাথে e-GP সমন্বিত করা হয়েছে। ইজিপি রেজিস্ট্রেশন, টেন্ডার ডকুমেন্টসহ সংশ্লিস্ট ফি অনলাইনে প্রদানের জন্য এ-চালান (a-chalan) চালু করা হয়েছে। যে কোন ক্রয়কারীর ক্রয় ব্যবস্থাপনার বিষয়ে অডিট করার জন্য অডিট মডিউল চালু করা হয়েছে। এছাড়া ইজিপিকে জাতীয় পরিচয়পত্রের সাথে সমন্বিত করা হয়েছে। বিশ্বব্যাপী COVID পরিস্থিতিতে ই-জিপির একদিনের জন্যও বন্ধ হয়নি। ইতোমধ্যে এ সিস্টেমটি ISO সনদ পেয়েছে। বর্তমানে ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে আহবানকৃত দরপত্রের বিজ্ঞাপন ও চুক্তির ১০০%প্রকাশিত হচ্ছে এবং যে কোন নাগরিক সংশ্লিষ্ট তথ্যাদি দেখতে পারেন। আহবানকৃত দরপত্রের ৯৯% নির্ধারিত দরপত্র মেয়াদের মধ্যে চুক্তি (NOA) সম্পাদিত হচ্ছে। এ সিস্টেম হতে বছরে ৪০০-৪৫০ কোটি টাকা আয় হয়। ডিসেম্বর ২০২২ পর্যন্ত সর্বেমোট আয় ১,৯৬১.০৩ কোটি টাকা (তথ্য-ইজিপি সিস্টেম)। এছাড়া ক্রয় প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় ৮৬.৭ দিন থেকে ৫৮ দিন হয়েছে। ই-জিপি সিস্টিম ব্যবহারের ফলে বার্ষিক ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হচ্ছে, দরদাতাদের ৪৯৭ মিলিয়ন কি:মি: ভ্রমণ দুরুত্ব কমেছে, ১,০৫৩ মিলিয়ন পাতা কাগজ সাশ্রয় হয়েছে এবং ১৫৩,৫৫৯ টন কার্বন নির্সরন কম হয়েছে (MAP, World Bank, June 2020)। সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত কার্যক্রম: সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত কাজের বাস্তবায়ন মান সম্মত হচ্ছে কিনা, সে বিষয়ে স্থানীয় নাগরিকগণের মাধ্যমে নির্বাচিত ক্রয় কাজের পরিবীক্ষণ কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। ৮ বিভাগের, ১৬ জেলার ৪৮ উপজেলায় এ কার্যক্রম পরিচালিত হয়েছে। ৪৮টি উপজেলায় ৩১৬টি চুক্তি/কাজ পরিবীক্ষণ করা হয়েছে। উল্লিখিত বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে অর্জিত অভিজ্ঞতা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনের পরামর্শ গ্রহণের মাধ্যমে ইতোমধ্যে সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সম্পৃক্ততা সংক্রান্ত মডেল চূড়ান্ত করা হয়েছে। সরকারি ক্রয় বাতায়ন সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত নানা তথ্য নাগরিকদের জানাতে ‘সরকারি ক্রয় বাতায়ন’ (https://citizen.cptu.gov.bd) নামে একটি সিটিজেন পোর্টাল চালু করা হয়েছে। ‘সরকারি ক্রয় বাতায়ন’ নামের এ সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত অনেক তথ্যই এখন নাগরিকদের হাতের নাগালে। e-PMIS: ইলেকট্রনিক সিস্টেমে প্রকল্প সংক্রান্ত তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে প্রাপ্তি ও সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য আইএমইডি’র উদ্যোগে একটি অনলাইনভিত্তিক স্বয়ংসম্পূর্ণ ডাটাবেইজ ও সফট্ওয়্যার e-PMIS প্রস্তুত করা হয়েছে। e-PMIS -এর বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে চলমান উন্নয়ন প্রকল্পের মনিটরিংসহ জিও ট্যাগিং -এর মাধ্যমে প্রকল্পের বর্তমান অবস্থার অগ্রগতি পাওয়া যাবে। এ সিস্টেমটি বিভিন্ন জাতীয় সিস্টেম যেমন- NID সিস্টেম, iBAS++ সিস্টেম, e-GP সিস্টেম, Project Planning System (PPS), ADP/ RADP Management System (AMS) -এর সাথে সংযুক্ত থাকবে। বর্তমানে e-PMIS সিস্টেম development-এর কাজ প্রায় সম্পন্ন হয়েছে। আইএমইডি’র ৩ টি প্রকল্প ও ৮ টি সেক্টরের ৩২ টি প্রকল্পের তথ্য e-PMIS -এ entry-এর কাজ চলমান রয়েছে। শীঘ্রই এটির পাইলট কার্যক্রম শুরু হবে। “ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং এন্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট”-শীর্ষক প্রকল্পটি জুলাই ২০১৭-ডিসেম্বর ২০২৩ মেয়াদে বাস্তবায়নাধীন রয়েছে। প্রকল্পটি প্রতি বছর প্রায় ১০০% লক্ষ্য (ভৌত ও আর্থিক) অর্জন করছে এবং বিশ্বব্যাংক কর্তৃক Satisfactory Project হিসেবে অভিহিত হচ্ছে। ২০২১ সালে বিশ্বব্যাংক এ প্রকল্পকে World Bank’s Directors Award for Most Innovative, Collaborative and Impactful Governance Global Practice Operations মর্মে পুরস্কৃত করেছে। |
Publication Date | : | 09/02/2023 |