News
Title | : | ইস্ট আফ্রিকা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট নেটওয়ার্কের ভার্চুয়াল সেশনে সিপিটিইউ মহাপরিচালকের মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন |
---|---|---|
Description | : | ১১ মার্চ ২০২১ তারিখে ইস্ট আফ্রিকা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সাব-রিজিওনাল নেটওয়ার্কের ভার্চুয়াল নলেজ শেয়ারিং সেশন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এতে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মোঃ শোহেলের রহমান চৌধুরী। দক্ষিণ এশিয়াসহ বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে যে কয়েকটি দেশ ই-জিপি বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে সবচেয়ে এগিয়ে রয়েছে তাদের মধ্যে বাংলাদেশ অন্যতম। বর্তমানে পূর্ব আফ্রিকার বেশ কয়েকটি দেশ ই-জিপি বাস্তবায়নের বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে। এ বিষয়ে তারা বাংলাদেশের কাছ থেকে জানতে ও শিখতে আগ্রহী। এরই পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় এই নলেজ শেয়ারিং সেশনটির আয়োজন করা হয়। ‘ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট: বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এই ভার্চুয়াল সেশনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন এপিপিএনের চেয়ারপার্সন মদুদা গোমেজুলু, টেকনিক্যাল সেক্রেটারি আফতার টোরে মোরোয়ে এবং সাব রিজিওনাল নেটওয়ার্ক কো-অর্ডিনেটর পলিন ওপিও। পরে ইথিওপিয়ায় ই-জিপি বাস্তবায়নের উদ্যোগ বিষয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন দেশটির প্রতিনিধি ওলডিব। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ১৮ মার্চ থেকে ২১ মার্চ পর্যন্ত ইথিওপিয়ার নয় সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল সিপিটিইউ থেকে ই-জিপি বিষয়ে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। এছাড়াও অনুষ্ঠানে রুয়ান্ডার রিচার্ড মিগাম্বি এবং তানজানিয়ার লিওনার্ডো কাপাঙ্গো নিজ নিজ দেশের সরকারি ক্রয় সম্পর্কিত বিষয় উপস্থাপন করেন। সিপিটিইউ মহাপরিচালক তার উপস্থাপনায় বাংলাদেশে ই-জিপি সিস্টেমের দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন, ই-জিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে সুশাসন নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অনেকদূর এগিয়েছে। এর ফলে বাংলাদেশের সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা, দক্ষতা ও প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্য হারে বেড়েছে। তিনি জানান, সিপিটিইউ ২০১১ সালের ই-জিপির বাস্তবায়ন শুরু করে। ২০০৭ সালে বাংলাদেশে মাত্র ১৫ শতাংশ কন্ট্রাক্ট অ্যাওয়ার্ডের তথ্য প্রকাশ করা হতো। ২০২১ সালে তা বেড়ে শতভাবে উন্নীত হয়েছে। ২০০৭ সালে মাত্র ১০ শতাংশ ক্রয়চুক্তি দরপত্র বৈধতার প্রাথমিক মেয়াদের মধ্যে সম্পন্ন হতো। ২০২১ সালে এটি বেড়ে হয়েছে ৯৯.৬৭ শতাংশ। একই সময়ে প্রতিটি দরপত্রে অংশগ্রহণকারী গড় দরদাতার সংখ্যা তিন থেকে বেড়ে হয়েছে ১৯.৪। নলেজ এক্সচেঞ্জ শেয়ারিং সেশনে প্রশ্ন-উত্তর এবং আলোচনা পর্বে সরকারি ক্রয়ের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন বক্তারা। অনুষ্ঠানে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরাও যোগ দেন। দক্ষিণ এশিয়া, ইউরোপ, এমইএনএ-ওইসিডি এবং পূর্ব, পশ্চিম ও দক্ষিণ আফ্রিকা অঞ্চলে সরকারি ক্রয়ে বিষয়ক নেটওয়ার্ক রয়েছে।
|
Publication Date | : | 15/03/2021 |