News
Title | : | অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়াতে সরকারি ক্রয়ে সুশাসন জরুরি: আইএমইডি সচিব |
---|---|---|
Description | : | বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী বলেছেন, সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের সুষ্ঠ বাস্তবায়ন হলে দেশে কর্মসংস্থান বাড়বে ও দারিদ্র্য নিরসন হবে। সেই সাথে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হারও বাড়বে। আর প্রকল্পের সুষ্ঠু বাস্তবায়নে সরকারি ক্রয়ের ভূমিকা ব্যাপক। প্রতিবছর এই খাতে ব্যয়ও বাড়ছে। তাই সরকারি ক্রয়ে সুশাসন প্রতিষ্ঠা জরুরি।
১৫ নভেম্বর ২০২০ তারিখে মুন্সীগঞ্জ জেলায় গভর্নমেন্ট-টেন্ডারার্স ফোরামের (জিটিএফ) কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মুন্সীগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত কর্মশালায় সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মুন্সীগঞ্জের জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদার। সিপিটিইউর উপ পরিচালক মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিনও কর্মশালায় বক্তব্য রাখেন। বিসিসিপির সিনিয়র ডেপুটি ডিরেক্টর খাদিজা বিলকিস কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্হাপন করেন।
সিপিটিইউর ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডাইমেপ) আওতায় সিপিটিইউর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বালাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) এর সহায়তায় কর্মশালাটি আয়োজন করা হয়। সরকারি ক্রয়কারী অফিসের কর্মকর্তাবৃন্দ, মুন্সীগঞ্জের দরদাতাগণ, ব্যাংক কর্মকর্তা, নাগরিক সমাজের এবং মিডিয়ার প্রতিনিধিরা এতে উপস্থিত ছিলেন।
কর্মশালায় আইএমইডি সচিব বলেন, আইন ও বিধিমালা সঠিকভাবে অনুসরণ করে দক্ষতার সঙ্গে সময়মতো সরকারি ক্রয় কার্যাবলী সম্পাদন করতে পারলে সুশাসন প্রতিষ্ঠিত হবে। এর জন্য আইন ও বিধিমালার আলোকে ক্রয়কারী ও দরদাতার মধ্যে পারস্পরিক আস্থা ও সহযোগিতার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠাও জরুরি। ক্রয়চুক্তির সুষ্ঠু ও মানসম্মত বাস্তবায়নে এই দুই পক্ষের সমান দায়িত্ব রয়েছে।
সিপিটিইউ মহাপরিচালক মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী বলেন, গত ১০ বছরে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে নানা সংস্কার কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশন। ই-জিপির ফলে সরকারি ক্রয়ে দক্ষতা, স্বচ্ছতা ও প্রতিযোগিতা বেড়েছে। তবে চ্যালেঞ্জও রয়েছে।
জিটিএফ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এটি দরদাতা ও ক্রয়কারীর একটি দ্বিপাক্ষিক প্লাটফরম। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে- স্থানীয় পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে পেশাদার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা এবং একটি টেকসই ক্রয় পরিবেশ তৈরি করা। দেশের ৬৪ জেলায় জিটিএফের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। |
Publication Date | : | 16/11/2020 |