News
Title | : | ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বান চার লাখ ছাড়িয়েছে: করোনা পরিস্থিতিতেও স্বাভাবিক কার্যক্রম |
---|---|---|
Description | : | ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা চার লাখ ছাড়িয়েছে। ২৪ আগস্ট ২০২০ তারিখে অনলাইনে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা দাঁড়ায় ৪০৪৯৪৭টি। আর ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মূল্যমান চার লাখ ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি। এর আগে, গত ২২ জুলাই ২০২০ তারিখে ই-জিপিতে দরপত্র আহ্বানের সংখ্যা চার লাখের মাইলফলক স্পর্শ করে। ওইদিন পর্যন্ত ই-জিপিতে আহ্বান করা দরপত্রের মোট মোট মূল্যমান চার লাখ ১০ হাজার কোটি টাকা। মাত্র আট বছরের মধ্যে ই-জিপিতে ক্রয়কারী সংস্থা ও দরদাতাদের এই ব্যাপক অংশগ্রহণ সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনে বড় ধরনের একটি সাফল্য। সঙ্কটময় কোভিড-১৯ পরিস্থিতির মধ্যেই ই-জিপি কার্যক্রমে এই সাফল্য অর্জন করেছে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। করোনা পরিস্থিতিতেও সিপিটিইউ ই-জিপি সিস্টেম স্বাভাবিক রেখেছে। ইলেকট্রনিক পাবলিক প্রকিউরমেন্ট সিস্টেমে কোনো ধরনের সমস্যা হচ্ছে না। সরকারি সেবা ডিজিটাইজেশনের অংশ হিসেবে ই-জিপি সেবা চালু করে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন (আইএমই) বিভাগের অধীন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ)। ২০১১ সালের ২ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ই-জিপির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। ওই বছরই চারটি বড় ক্রয়কারী সংস্থায় পরীক্ষামূলকভাবে অনলাইন টেন্ডারিং চালু করা হয়। ক্রয়কারী সংস্থাগুলো হচ্ছে- স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি), সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর, বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড। পরীক্ষামূলক অনলাইন টেন্ডারিংয়ে সফলতা অর্জনের পর ২০১২ সাল থেকে সরকারি বিভিন্ন ক্রয়কারী সংস্থা সিপিটিইউর উদ্ভাবিত ই-জিপি বাস্তবায়ন শুরু করে । গত ২২ জুলাই ২০২০ পর্যন্ত মোট ১৩৬৫টি সরকারি ক্রয়কারী সংস্থার মধ্যে ১৩৪৩টি ই-জিপির আওতায় এসেছে। আর ই-জিপিতে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা ৭৪৩৯৫। ক্রয়কারী সংস্থা ও দরপত্রদাতা উভয় পক্ষই তথ্যপ্রযুক্তিভিত্তিক সেবা ই-জিপির সুফল পাচ্ছে। এর মাধ্যমে দরপত্র প্রক্রিয়া সহজ ও দ্রুত হওয়ার পাশাপাশি সময় ও অর্থেরও ব্যাপক সাশ্রয় হচ্ছে। টেন্ডার নিয়ে আর কোনো ঝুট-ঝামেলাও হচ্ছে না ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (ই-সিএমএস) নিয়েও কাজ করছে সিপিটিইউ। ইতোমধ্যে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) তিনটি ও সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের দুটি ক্রয় চুক্তিতে পরীক্ষামূলকভাবে ই-সিএমএস চালু করা হয়েছে। এছাড়া সিপিটিইউ দরদাতাদের একটি ডাটাবেইজ তৈরি করেছে এবং ই-জিপিতে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান শুরু করার বিষয়েও প্রস্তুতি নিচ্ছে। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মূসচি-এডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ এবং জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ অর্থ সরকারি ক্রয়ে ব্যয় হয়। |
Publication Date | : | 24/08/2020 |