News
Title | : | কোভিড-১৯ এর প্রভাব মোকাবিলায় পদক্ষেপ চায় বিজিটিএফ |
---|---|---|
Description | : | করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে সারাদেশে উন্নয়নকাজ ব্যাপকভাবে ব্যহত হওয়ার কারণে চলতি ২০১৯-২০ অর্থবছরের মেয়াদ আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়াতে সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ক্রয়কারী সংস্থাসমূহের প্রতিনিধি ও টেন্ডারাররা। গত ২৩ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট অ্যান্ড টেন্ডারারস ফোরাম (বিজিটিএফ) এর আহ্বায়ক কমিটির অনলাইন সভায় এই দাবি জানান তারা। কোভিড-১৯ এর কারণে সৃষ্ট পরিস্থিতি ও সমাধানের বিষয় নিয়ে আলোচনা করতেই এই সভার আয়োজন করা হয়। সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে টেন্ডারারদের অন্তর্ভুক্ত করারও দাবি জানানো হয় সভায়। টেন্ডারাররা বলেন, করোনাভাইরাস পরিস্থিতির কারণে দেশজুড়ে উন্নয়ন কাজে স্থবিরতা নেমে এলেও তাদেরকে ব্যাংক ঋণের সুদ পরিশোধ ও পরিচালন ব্যয়ে ঠিকই করতে হচ্ছে। কোভিড-১৯ এর কারণে বিভিন্ন প্রকল্পে বাড়তি সময় ধরে কাজ করতে হবে। ওই সময়ে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বেড়ে যাওয়ারও আশঙ্কা রয়েছে। তাই সরকার ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজে টেন্ডারারদের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত বলে তারা মনে করেন। কোভিড-১৯ এর অর্থনৈতিক প্রভাব মোকাবিলায় গত ৪ এপ্রিল ২০২০ তারিখে বিভিন্ন খাতের জন্য ৭২, ৭৫০ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে সরকার। ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্ট (ডাইম্যাপ) এর আওতায় বিজিটিএফ প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় ২০১৭ সালের জুলাই থেকে সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে। বিজিটিএফের আহ্বায়ক জনাব মো. আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে সিপিটিইউ মহাপরিচালক জনাব মো: শোহেলের রহমান চৌধুরী ও সিপিটিইউর পরিচালক (সমন্বয়) জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী সভায় যোগ দেন। বিজিটিএফের সেক্রেটারি ও মোজাহের এন্টারপ্রাইজের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কাজী মোজাহেরুল হকসহ বিভিন্ন দরদাতা প্রতিষ্ঠান ও ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধিরা সভায় বক্তব্য রাখেন। টেন্ডারার ও ক্রয়কারী সংস্থার প্রতিনিধিরা বলেন, অনেক প্রকল্পের কাজ ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে শেষ না হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ২০১৮-১৯ অর্বছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি-এডিপির বাস্তবায়নের হার ৯৪.২৩ শতাংশ হলেও চলতি অর্থবছরে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে এডিপি বাস্তবায়নে শ্লথগতি দেখা দেবে। তাই চলতি অর্বছরের মেয়াদ আগামী ডিসেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো সমীচীন হবে। বাংলাদেশে ১ জুলাই থেকে শুরু হয়ে অর্থবছর শেষ হয় ৩০ জুন। বিজিটিএফের আহ্বায়ক ও এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী (ক্রয়) জনাব মো. আব্দুস সাত্তার বলেন, ২০২০ সালের জুন মাসের মধ্যে যেসব কাজ শেষ করার জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল, সেগুলোতে বিলম্ব হবে। এছাড়া মার্চ মাসের মধ্যে যেসব নতুন দরপত্র আহ্বান করার কথা সেগুলোও সময়মতো বাস্তবায়ন হবে না। আসন্ন বর্ষা মৌসুমের কারণেও অনেক উন্নয়ন কাজ গতি হারাবে। টেন্ডারারা বলেন, এজি অফিস থেকে বিল ছাড় না হওয়ায় তারা তহবিল সঙ্কটে পড়েছেন। তাদের তহবিল সঙ্কট কাটাতে এই বিষয়েও জরুরি পদক্ষেপ নেয়া প্রয়োজন। সভায় সিপিটিইউ মহাপরিচালক বলেন, টেন্ডারারদের বিল পাওয়ার বিষয়ে তিনি শিগগিরই অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করবেন। তাদের বিল পরিশোধের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে। তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের মেয়াদ বাড়ানোর বিষয়টি উচ্চ পর্যায়ের নীতি নির্ধারণী বিষয়। তবে ক্রয় সংক্রান্ত অন্য সমস্যাগুলোর বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেন তিনি। টেন্ডারাররা বলেন, উন্নয়ন কাজ বন্ধ থাকলেও তাদের স্থির ব্যয় চালু রয়েছে। ক্রয়চুক্তির বিভিন্ন স্তর বাস্তবায়নের জন্য ব্যাংক থেকে নেওয়া ঋণের সুদও তাদেরকে পরিশোধ করতে হচ্ছে। কাজ বন্ধ থাকলেও এই ব্যয় সামাল দেওয়া নিয়ে তারা চরম উদ্বেগের মধ্যে রয়েছেন। কোভিড লকডাউন এবং এ সম্পর্কিত ঝুঁকির কারণে শ্রমিকদের কাজে যুক্ত করতে পারছেন না তারা। বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্মাণ খাতে প্রায় ২০ লাখ শ্রমিক কর্মহীন হয়ে পড়েছে। করোনোভাইরাসের প্রকোপ কমে যাওয়া পর নির্মাণ সামাগ্রীর ব্যয় বেড়ে গেলে আরও বেশি সমস্যায় পড়বেন টেন্ডারাররা। বিজিটিএফে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়শেন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন (বেসিস) এর সভাপতি জনাব সৈয়দ আলমাস কবির বলেন, সরকারি ক্রয়ে তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোকে আরও বেশি গুরুত্ব দেওয়া প্রয়োজন। তিনি বলেন, আইটি সফটওয়্যার ক্রয়ের জন্য আদর্শ দরপত্র দলিলের বিষয়ে বেসিস সিপিটিইউর সাথে কাজ করছে। সিপিটিইউর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান বিসিসিপি অনলাইন সভাটি আয়োজনে সহযোগিতা করে। |
Publication Date | : | 27/04/2020 |