News
Title | : | সরকারি ক্রয় সংস্কারের ফল যথেষ্ট ইতিবাচক |
---|---|---|
Description | : | সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের ফলে ই-জিপির মাধ্যমে ২০১২ থেকে ২০১৮ পর্যন্ত ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার সাশ্রয় হয়েছে। ২০১১ থেকে ২০১৯ অর্থবছরে উম্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে কার্যক্রয়ের সময়সীমা (দরপত্র আহবান থেকে চুক্তি স্বাক্ষর পর্যন্ত) ৯৪ দিন থেকে ৫৯ দিনে নেমে এসেছে। ডিজিটাইজেশন সরকারি ক্রয় সংস্কারেরই অংশ। সরকারি ক্রয়ে সংস্কার বাস্তবায়নের ফলে উল্লিখিত সুফলসহ আরও বেশ কিছু ইতিবাচক সাফল্য তুলে ধরা হয়েছে ২৯ সেপ্টেম্বর ২০১৯ সিপিটিইউ এবং বিশ্বব্যাংক আয়োজিত একটি জাতীয় পর্যায়ের কর্মশালায়। ঢাকায় রেডিসন হোটেলে অনুষ্ঠিত ওই কনসালটেশন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মানণীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী জনাব এম, এ মান্নান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের সচিব জনাব আবুল মনসুর মো: ফয়েজউল্লাহ, এনডিসি। সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) জনাব মোঃ আলী নূরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্বব্যাংক বাংলাদেশ এর কান্ট্রি ডিরেক্টর মিস মার্সিয়া টেমবুন এবং বিশ্বব্যাংকের দক্ষিন এশিয়া বিষয়ক ম্যানেজার মিস এলমাস এরিসয়। বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট জনাব ইশতিয়াক সিদ্দিক এবং পিটার আরমিন তৃপ্তি বাংলাদেশের সরকারি ক্রয় বিষয়ে সদ্য সমাপ্ত এসেসমেন্টে প্রাপ্ত বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত কর্মশালায় উপস্থাপন করেছেন। সরকারি ক্রয়ে ২০০৭ সালে নির্ধারিত সময় সীমার মধ্যে চুক্তি স্বাক্ষরের হার ছিল মাত্র শতকরা ১০ ভাগ। এখন তা বেড়ে হয়েছে ৯০ ভাগ। দরপত্রের ব্যাপক প্রকাশনা ছিল ১৫ ভাগ। বর্তমানে তা ১০০ ভাগ, প্রতিযোগিতা প্রতি দরপত্রে ছিল ৪ বর্তমানে তা ১৬ (এলটিএম ও ওটিএম মিলে) ২০০৩ থেকে এ পর্যন্ত প্রশিক্ষণ পেয়েছে ৩৪ হাজারের বেশী। কর্মশালায় প্রদত্ত অন্যান্য তথ্যের মধ্যে বিভিন্ন চ্যালেঞ্জও তুলে ধরা হয়েছে। যেমন ছোট দরদাতাদের বিভিন্ন সমস্যা। প্রকল্প সমূহ সঠিক সময়ে শেষ না হওয়া, ওটিএম এ ১০% রুল এর কারণে সমস্যা এবং ওটিএমে প্রতিযোগিতার হার কমে যাওয়া ইত্যাদি। কর্মশালায় গ্রুপওয়ার্কে স্টেকহোল্ডারগণ এসব সমস্যা উত্তোরনের জন্য পরামর্শ দিয়েছেন। সেগুলো একীভূত করে সুপারিশ আকারে সিপিটিইউ উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট পেশ করবে। কর্মশালায় মানণীয় পরিকল্পনা মন্ত্রী বলেন, “জনগন দেখতে চায় যে তাদের টাকা আমাদের কাছে নিরাপদ আছে এবং সঠিক ভাবে ব্যয় হচ্ছে। আমরা এখন অনেক দূর সামনে এগিয়েছি। তবে সমস্যা এখনও আছে। এগুলো আমরা আপনাদের মতামত নিয়ে সমাধান করবো”। সরকারের সকল কাজই এখন স্বচ্ছ। যে কেউ চাইলে তথ্য জানতে পারে। এখন সচেতনতা অনেক বেড়েছে। সরকারি ক্রয়ে নাগরিক সংশ্লিষ্টতা সৃষ্টি করা হচ্ছে। সরকার এটা চায়। আইএমইডির সচিব বলেন সরকারি ক্রয়ের প্রভাব সর্বত্র। প্রকল্প সঠিক সময়ে শেষ হওয়া বা না হওয়ার ক্ষেত্রে সরকারি ক্রয়ের সংশ্লিষ্টতা রয়েছে। এজন্যই আমরা সরকারি ক্রয় সংস্কার বাস্তবায়নে গুরুত্বারোপ করছি। স্বাগত বক্তব্যে সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক জনাব মোঃ আলী নূর বলেন সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাফল্য লাভ করেছে। তবে এখনও কিছু কিছু ক্ষেত্রে উন্নতির সুযোগ আছে। গত বছর এই প্রকিউরমেন্ট এসেসম্যান্ট হাতে নেওয়া হয়েছিল। বিভিন্ন পর্যায়ের স্টেকহোল্ডারের সংগে কথা বলে সরকারি ক্রয়ের বিদ্যমান পরিস্থিতি যাচাই করা হয়েছে। বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর বলেন অর্থনৈতিক প্রবৃ্দ্ধি অর্জনে বাংলাদেশ সারা বিশ্বে এখন পরিচিত। সরকারি ক্রয়ের যে ডিজিটাইজেশন হয়েছে তাও বহির্বিশ্বে সমাদৃত হয়েছে।
|
Publication Date | : | 13/10/2019 |