News
Title | : | পিপিআর, ২০০৮ সংশোধন: দরপত্রদাতাদের সঙ্গে মতবিনিময় করলো বিপিপিএ |
---|---|---|
Description | : | পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস (পিপিআর), ২০০৮- এর প্রস্তাবিত সংশোধন নিয়ে অংশীজনদের সঙ্গে চলমান পরামর্শ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) ১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখে বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন চত্বরে অবস্থিত বিপিপিএ ভবনের সম্মেলনকক্ষে দরপত্রদাতা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে এক কর্মশালার আয়োজন করে। দরপত্রদাতা ও ব্যবসায়ী সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরকারি ক্রয় সংস্কার বিষয়ক এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)- এর সচিব জনাব মো. কামাল উদ্দিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিপিপিএ- এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও অতিরিক্ত সচিব জনাব এস. এম. মঈন উদ্দীন আহমেদ। কর্মশালায় প্রায় ৪০ জন অংশগ্রহণকারী উপস্থিত ছিলেন, যাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতি ফেডারেশন (এফবিসিসিআই), বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস (বেসিস), এবং বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব কনস্ট্রাকশন ইন্ডাষ্ট্রি (বাসি) এর প্রতিনিধিবৃন্দ ও দরদাতাগণ। কর্মশালার আলোচ্য বিষয়ে উপস্থাপনা পেশ করেন বিপিপিএ-এর পরিচালক (উপসচিব) জনাব শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম, যেখানে তিনি পিপিআর, ২০০৮-এর প্রস্তাবিত সংশোধনসমূহ তুলে ধরেন। সংশোধিত খসড়া ইতোমধ্যে বিপিপিএ- এর ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হয়েছে এবং ১৮ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে সংশ্লিষ্ট সকলকে মন্তব্য দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। এর আগে, ৪ মে ২০২৫ তারিখে প্রকাশিত পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী পিপিআর, ২০০৮- এ সংশ্লিষ্ট পরিবর্তন আনা হচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় বিপিপিএ ইতোমধ্যে বিভিন্ন অংশীজনের সঙ্গে একাধিক পরামর্শ সভা সম্পন্ন করেছে। কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা বর্তমান প্রকিউরমেন্ট প্রক্রিয়া এবং প্রস্তাবিত সংশোধনের বিভিন্ন দিক নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন। অনেকেই নির্দিষ্ট নিয়ম বা আইনের বাইরে গিয়ে ক্রয়কারী সংস্থাগুলো নিজের ইচ্ছামতো সিদ্ধান্ত নেওয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন, যা তারা মনে করেন, সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আইএমইডি সচিব বলেন, এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা সীমিত করা প্রয়োজন, কারণ এটি অপব্যবহারের সুযোগ সৃষ্টি করতে পারে। বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আশ্বাস দেন যে, সকল অংশীজনের স্বার্থের কথা বিবেচনা করে সংশোধন প্রক্রিয়া দ্রুততার সঙ্গে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে দুই মাসে কাজ শেষ করার নতুন সময়সূচি নির্ধারণ করা হয়েছে, যা পূর্বের দশ মাসব্যাপী পরিকল্পনার তুলনায় উল্লেখযোগ্যভাবে সংক্ষিপ্ত।
|
Publication Date | : | 11/08/2025 |