News

Title : পিপিআর ২০০৮-এর সংশোধন প্রক্রিয়া চলমান
Description :

পিপিআর ২০০৮-এর সংশোধন কাজ চলমান

সরকারি ক্রয় বিধিমালা (পিপিআর), ২০০৮ সংশোধনের লক্ষ্যে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) কর্তৃক আয়োজিত একটি অংশীজন কর্মশালা ২৩ জুলাই ২০২৫ তারিখ সকাল ৯:৩০টা থেকে দুপুর ১:৩০টা পর্যন্ত বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশন ক্যাম্পাসের এনইসি কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)-এর সচিব জনাব মো. কামাল উদ্দিন কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বিপিপিএর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জনাব এস. এম. মঈন উদ্দীন আহমেদ এতে সভাপতিত্ব করেন। সরকারি ক্রয়ের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ৪৭টি সরকারি সংস্থার মনোনীত প্রতিনিধিগণ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

সকল অংশগ্রহণকারীর স্ব-পরিচয় পর্ব শেষে সভাপতির বক্তব্যের মাধ্যমে কর্মশালার আনুষ্ঠানিক শুভ সূচনা হয়। তিনি বলেন, ৪ মে ২০২৫ তারিখে  প্রকাশিত সরকারি ক্রয় (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫ অনুযায়ী পিপিআর ২০০৮ সংশোধনের প্রয়োজন রয়েছে।

তিনি বলেন, “বিপিপিএ-এর বোর্ড কর্তৃক অনুমোদিত একটি পিপিআর সংশোধন রোডম্যাপ রয়েছে। যদিও সংশোধনের সময়সীমা নভেম্বর ২০২৫ নির্ধারিত রয়েছে, আমরা আশাবাদী যে সেপ্টেম্বর ২০২৫ এর মধ্যেই কাজটি সম্পন্ন করতে পারব। টানা ১০ দিনব্যাপী ইনহাউস পরামর্শ ও বিশেষজ্ঞ টেকনিক্যাল ওয়ার্কিং গ্রুপের ধারাবাহিক বৈঠকের মাধ্যমে পিপিআর ২০০৮ সংশোধনের একটি খসড়া ইতোমধ্যে প্রস্তুত করা হয়েছে। আজকের আলোচনার পর খসড়াটি বিপিপিএ-এর ওয়েবসাইটে আপলোড করা হবে।

তিনি অংশগ্রহণকারীদের কর্মশালায় অংশগ্রহণের জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান। সিইও অংশগ্রহণকারীদের সরকারি ক্রয়ে দক্ষ উল্লেখ করে একটি কার্যকর ও প্রাণবন্ত আলোচনায় সবাইকে স্বাগত জানান।

সচিব তাঁর প্রারম্ভিক বক্তব্যে বলেন, প্রস্তাবিত সংশোধন নিয়ে ইতোমধ্যে অনেক মতামত ও ইনপুট পাওয়া গেছে। আজ ৪৭টি সংস্থার সরকারি ক্রয় সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞগণ এখানে একত্রিত হয়েছেন। তিনি বলেন, সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে আমাদের নির্ধারিত একটি পদ্ধতির অধীনে কাজ করতে হয়। “আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তারপরও আমাদের আইন ও বিধি জানতে হবে এবং আমাদের সিদ্ধান্তে আত্মবিশ্বাসী হতে হবে। তিনি বলেন, সংশোধিত পিপিআর খসড়াটি গভীর পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণের মাধ্যমে তৈরি করা হয়েছে। সচিব সকল অংশগ্রহণকারীকে  পুনরাবৃত্তি না করে নির্দিষ্ট মতামত দিতে অনুরোধ জানান।

সভাপতির অনুমতিক্রমে বিপিপিএ-এর পরিচালক (উপসচিব) জনাব শাহ ইয়ামিন-উল ইসলাম পিপিআর ২০০৮ সংশোধনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত খসড়া উপস্থাপন করেন। তিনি তাঁর বিস্তারিত উপস্থাপনার শুরুতেই বলেন, পিপিআর ২০০৮-এ ইতোমধ্যে কয়েক দফা সংশোধনী আনা হয়েছে। এবার বড় পরিসরে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে, যা বিভিন্ন পরামর্শ, অভিজ্ঞতা ও বাস্তব চর্চার আলোকে প্রণয়ন করা হয়েছে।

তিনি সংশোধনের প্রস্তাবিত ক্ষেত্রসমূহ নিয়ে বিস্তারিত উপস্থাপন পেশ করেন। তিনি বলেন, বর্তমান পিপিআর ২০০৮-এ মোট ১৩০টি বিধি রয়েছে এবং তার মধ্যে ৮৮টি বিধিতে সংশোধনের প্রস্তাব করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, প্রস্তাবিত মূল সংশোধনগুলোর মধ্যে রয়েছে, ওপেন টেন্ডারিং পদ্ধতিতে (OTM) জাতীয় কার্যাদেশের জন্য ১০% মূল্যসীমা বাতিল, ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (e-GP) ব্যবস্থার বাধ্যতামূলক ব্যবহার,           চুক্তিপ্রাপ্ত ঠিকাদার বা সরবরাহকারীর মালিকানা তথ্য প্রকাশ, ‘ফিজিক্যাল সার্ভিসকে আলাদা ক্রয় শ্রেণি হিসেবে অন্তর্ভুক্তি,সাধারণ কাজ ও পরামর্শক সেবা ফ্রেমওয়ার্ক চুক্তির আওতায় আনা, প্রকল্পের জন্য ক্রয় কৌশলের আলোকে বিস্তারিত ক্রয় পরিকল্পনা প্রণয়ন, রিভার্স অকশন পদ্ধতি প্রবর্তন এবং টেকসই সরকারি ক্রয় (SPP)-এর আইনগত স্বীকৃতি।

খোলামেলা আলোচনায় অংশগ্রহণকারীরা সক্রিয়ভাবে মতামত প্রদান করেন। বিপিপিএ তাঁদের মন্তব্য, পরামর্শ ও মতামত নোট করে রাখে।

বৃহৎ ক্রয়কারী সংস্থাসমূহের সমন্বয়ে অনুষ্ঠিত এই অংশীজন কর্মশালার ধারাবাহিকতায় বিপিপিএ কর্তৃক ১১ আগস্ট ২০২৫ তারিখের মধ্যে জাতীয় ক্রয় প্রশিক্ষক, দরদাতা ব্যবসায়ী সমাজ এবং আন্ত:মন্ত্রণালয় অংশীজন সমন্বয়ে আরো তিনটি সভা/কর্মশালা আয়োজনের পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে।

Publication Date : 24/07/2025