News

Title : সরকার জনবান্ধব ক্রয় ব্যবস্থা গড়ে তুলতে বদ্ধপরিকর
Description :

বর্তমান সরকার দেশে একটি জনবান্ধব সরকারি গড়ে তুলতে ক্রয় ব্যবস্থা বদ্ধপরিকর। সে লক্ষ্যে প্রকল্পে অপচয় ও বাস্তবায়নের দীর্ঘসূত্রতা রোধ করার জন্য তাগিদ দেওয়া হচ্ছে । প্রতিবছর গড়ে প্রায় ১৫ শত প্রকল্প বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি)’তে থাকে। এ প্রকল্পগুলো যদি সঠিক লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনে সক্ষম হয়, তাহলে আমাদের অর্থনীতিতে বিরাট ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

সে লক্ষ্যে ইলেকট্রনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেনশন সিস্টেম বা ই-পিএমআইএস চালু করা হয়েছে যার মাধ্যমে প্রকল্প বাস্তবায়নের রিয়েল-টাইম তথ্য অফিসে বসেই পাওয়া যায়। এটি ই-জিপি সিস্টেমের সাথে যুক্ত আছে। চলতি অর্থবছরে এডিপির আওতায় প্রকল্পের মোট সংখ্যা ১৩৪৩টি। ইতোমধ্যে ১২৭৭ টি প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক ই-পিএমআইএস-এ যুক্ত হয়ে তথ্য প্রদান শুরু করেছে। আপনারা এ ই-পিএমআইএস ব্যবহার করবেন।

বগুড়া জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে ২৯শে ডিসেম্বর, ২০২৪ (রোববার) বিপিপিএ’র কার্যাবলী ও ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক এক কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসাবে এসব কথা বলেন বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগ (আইএমইডি)’র সচিব জনাব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন ।

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) আয়োজিত এ কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব হোসনা আফরোজা। বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বগুড়ার পুলিশ সুপার জনাব মো. জেদান আল মুসা, পিপিএম এবং বিপিপিএ’র পরিচালক (উপসচিব) জনাব মো. সাখাওয়াত হোসেন।

বিপিপিএ’র পরিচালক (উপসচিব) জনাব মো. সাখাওয়াত হোসেন কর্মশালায় বিপিপিএ’র কার্যাবলী ও ই-জিপি অগ্রগতির বিষয়ে একটি বিস্তারিত উপস্থাপন তুলে ধরেন।

বিপিপিএ আয়োজিত কর্মশালাটি বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রাম (বিসিসিপি)’র ব্যবস্থাপনায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, সরকারি ক্রয়কারী কার্যালয়ের কর্মকর্তা, দরদাতাগণ, ব্যাংকের প্রতিনিধিবৃন্দ, মিডিয়ার প্রতিনিধিবৃন্দ এবং বিসিসিপি’র কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

আইএমইডি সচিব বলেন, ই-জিপি’তে বাংলাদেশ অনেক এগিয়েছে। আজ অবধি ভলিউমের দিক থেকে সরকারি ক্রয়ের শতকরা ৬৫ ভাগই ই-জিপি’তে হয়। আমরা এটাকে শতভাগে নিয়ে যাব। সেজন্য সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। আমরা সরকারি ক্রয়ে নাগরিকদেরও সম্পৃক্ত করছি। বিপিপিএ’র একটি সরকারি ক্রয় বাতায়ন করা হয়েছে।

সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিতে ক্রয়কারী এবং ঠিকাদার উভয়েরই দায়িত্ব রয়েছে। অপরাধ প্রমাণিত হলে ঠিকাদারদের সরকারি ক্রয় থেকে বিরত রাখার বিধান রয়েছে। একইসাথে চুক্তি বাস্তবায়নে মাঠ পর্যায়ে ঠিকাদাররা চুক্তিতে উল্লিখিত মানে কাজ করছে কিনা তা দেখার দায়িত্ব রয়েছে ক্রয়কারীর। সরকারি ক্রয়ে ই-জিপির ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে।

বিপিপিএ নানাবিধ সচেতনতামূলক কর্মসূচির মাধ্যমে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা, ই-জিপি ও এর বিভিন্ন উল্লেখযোগ্য ও নতুন নতুন বৈশিষ্ট্যসমূহ সংশ্লিষ্টদের মাঝে তুলে ধরছে । এরই ধারাবাহিকতায় ইতোমধ্যে ই-জিপি’র অনেক অগ্রগতি হয়েছে। ই-জিপি’র ফলে দরপত্র প্রক্রিয়াকরণের গড় সময় এখন উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে । নতুন বেশ কিছু ফিচার যুক্ত হওয়ার ফলে ই-জিপি এখন একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন ব্যবস্থায় পরিণত হয়েছে। সরকার ই-জিপির পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে বদ্ধপরিকর এবং বিপিপিএ সেভাবেই কাজ করছে। আমাদের পেছনে যাওয়ার আর কোনো সুযোগ নেই।

ক্রয় প্রক্রিয়াকরণ ও চুক্তি ব্যবস্থাপনার সব কাজই এখন ই-জিপিতে করা যায়। ই-জিপিতে ই-সিএমএস, ই-অডিট, এ-চালান, আন্তর্জাতিক দরপত্র মডিউল, সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি, বুদ্ধিবৃত্তিক ও পেশাগত  সেবা ক্রয়, দরদাতাদের ডেটাবেইজ যুক্ত করা হয়েছে। নাগরিকদের ক্রয় বিষয়ক তথ্য প্রদানের জন্য সরকারি ক্রয় বাতায়ন চালু করা হয়েছে। বিপিপিএ এখন এসপিপি নিয়েও কাজ করছে।

Publication Date : 31/12/2024