News

Title : ই-জিপি সিস্টেমের সঙ্গে ডিভিএস- এর আন্তঃসংযোগ স্হাপন
Description :

বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ)-এর প্রবর্তিত ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমের সঙ্গে ইনস্টিটিউট অব চাটার্ড একাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ-এর উদ্ভাবিত ডকুমেন্ট ভেরিফিকেশন সিস্টেম (ডিভিএস) এর আন্তঃসংযোগ স্হাপন করা হয়েছে।

২২ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখ সন্ধ্যায় রাজধানীর আইসিএবি মিলনায়তনে এ দুটি ডিজিটাল সিস্টেমের আন্তঃসংযোগ স্হাপনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়েছে। আইসিএবি এ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে। একই অনুষ্ঠানে রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানী অ্যান্ড ফার্মস-এর নাম অনুমোদন পোর্টালের সংগেও ডিভিএস-এর আন্তঃসংযোগ স্হাপন উদ্বোধণ করা হয়েছে।

উদ্বোধণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিটি বিভাগের সচিব জনাব শীষ হায়দার চৌধুরী। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিপিপিএ’র সাবেক প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব শোহেলের রহমান চৌধুরী। বিপিপিএ’র বর্তমান প্রাধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান, রেজিষ্ট্রার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানীর রেজিষ্ট্রার জনাব মো. মিজানুর রহমান, আইসিএবি’র প্রেসিডেন্ট জনাব ফোরকান উদ্দিন এফসিএ এবং প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব সুভাশীষ বোস অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।

আইসিএবি’র সিনিয়র উপ-পরিচালক ও আইটি প্রধান জনাব দেলোয়ার হোসেন সিস্টেম আন্তঃসংযোগের বিষয়ে একটি উপস্থাপনা তুলে ধরেন। তিনি জানান দরদাতাদেরকে দরপত্র দাখিলের সময় তাদের প্রতিষ্ঠানের অডিটকৃত আর্থিক বিবরণীও জমা দিতে হয়। সেক্ষেত্রে নানা ব্যত্যয়, অনিয়ম ও অসুবিধার অভিযোগ রয়েছে।

ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এসব ডকুমেন্ট এতদিন ম্যানুয়ালী যাচাই করত। আন্তঃসংযোগ স্থাপনের ফলে এখন এসব ডকুমেন্ট অনলাইন সিস্টেমের মাধ্যমে অফিসে বসেই যাচাই করা সম্ভব হবে। ডিভিএস কর্তৃক সত্যয়নকৃত (সার্টিফাইড) আর্থিক বিবরণীতে কিউআর কোড যুক্ত থাকবে।

ক্রয়কারী যখন এই কিউআর কোডকৃত আর্থিক বিবরণী পাবে তখন ই-জিপি সিস্টেমের মাধ্যমে ডিভিএস থেকে স্বয়ংক্রিয় পদ্ধতিতে তা সঠিক কিনা যাচাই করতে পারবে। এর ফলে কোন জাল সনদ দাখিলের আর সুযোগ থাকবে না।

বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই প্রতিষ্ঠানের একাধিক আর্থিক বিবরণী তৈরী ও দাখিলের অভিযোগ রয়েছে। তাছাড়া ম্যানুয়ালী সব ডকুমেন্ট যাচাই করা সময় ও ব্যয় সাপেক্ষ। অনুষ্ঠানে বক্তাগণ বলেন বাস্তব, সঠিক ও একক আর্থিক বিবরণী দাখিলের মাধ্যমে সরকারের যেমন রাজস্ব অর্জন বাড়বে তেমনি আর্থিক শৃংখলা প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। এ পর্যন্ত ই-জিপি সিস্টেমে নিবন্ধিত দরদাতার সংখ্যা প্রায় এক লাখ ২৩ হাজার।

শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, আইসিএবি হিসাব-নিকাশে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে কাজ করছে। বাংলাদেশ আইসিটি খাতে আরও অগ্রগতি অর্জনের প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। আইসিএবি আন্তঃসংযোগ স্থাপনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আরও বেশি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ডিজিটাল ইন্টিগ্রেশনের জন্য সমঝোতা স্মারক (MoU) প্রতিষ্ঠার ওপর জোর দেওয়া উচিত।

তিনি আইসিএবিকে একটি আইসিটি রোডম্যাপ তৈরির আহ্বান জানিয়ে বলেন, "আইসিটি বিভাগ সব সময় আইসিএবির পাশে থাকবে এবং প্রয়োজনীয় সব ধরনের সহায়তা প্রদান করবে।"

মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, ই-জিপি ইতিমধ্যে এনআইডি, আইবাস++ এবং ই-পিএমআইএসের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ স্থাপন করেছে। ডিভিএসের সঙ্গে ইন্টিগ্রেশনের মাধ্যমে ই-জিপি সিস্টেম স্বচ্ছতা এবং জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে আরও সক্ষম হবে।

ই-জিপি সিস্টেমের ডাটাবেজে অনেক দরদাতার অন্তর্ভুক্তির ফলে টেন্ডারিং পদ্ধতির উপর নজরদারি আরও বাড়বে এবং সিস্টেমের আন্তঃসংযোগ এই বিশাল কাজ সহজেই পরিচালনায় সাহায্য করবে।

"আমরা এমন একটি সিস্টেম প্রতিষ্ঠার স্বপ্ন দেখি যেখানে সংশ্লিষ্ট অংশীজণের আর ম্যানুয়ালি কাজ করতে হবে না," উল্লেখ করেন বিপিপিএ’র প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা।

 শোহেলের রহমান বলেন, "একটি পেশাদার প্রতিষ্ঠান হিসেবে, আইসিএবি দেশের ব্যবসা প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। বিপিপিএ বিভিন্ন সিস্টেমের সঙ্গে আন্তঃসংযোগ নিশ্চিত করতে একটি কার্যপ্রণালী তৈরি করেছে।"

আইসিএবির প্রেসিডেন্ট বলেন, "আইসিএবি উদ্ভাবিত এই ডিজিটাল মডিউলের মাধ্যমে আর্থিক অডিট এখন আরও স্বচ্ছ হবে। এটি আর্থিক অডিটে প্রতারণা রোধ করেছে। এটি ব্যবসায় সমতল ক্ষেত্র নিশ্চিত করেছে। ডিভিএস এখন পর্যন্ত এনবিআরসহ বেশিরভাগ প্রধান প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে একীভূত হয়েছে। ই-জিপির সঙ্গে নতুন ইন্টিগ্রেশন সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। ই-জিপি সিস্টেমের সঙ্গে একীভূত হওয়া ডিভিএসের আরেকটি মাইলফলক সাফল্য," তিনি উল্লেখ করেন।

 

 

Publication Date : 24/12/2024