News

Title : সরকারি ক্রয়ে অপচয় রোধের তাগিদ
Description :

বান্দরবান জেলা ও কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় অনুষ্ঠিত দুটি পৃথক কর্মশালায় সিনিয়র সরকারি কর্মকর্তারা ই-জিপি (ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট) ব্যবস্থার মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করার উপর জোর দিয়েছেন। ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট অন্তর্ভুক্তির মাধ্যমে ই-জিপি এখন আরও কার্যকর হয়েছে, যা অর্থের যথাযথ ব্যবহার নিশ্চিত করবে এবং অপচয় রোধ করবে।

বান্দরবানে কর্মশালা:

১৯ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে বান্দরবান জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি-এর আয়োজনে বিপিপিএ’র কার্যাবলী ও ই-জিপি বিষয়ক সচেতনতামূলক কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব জনাব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান।

আইএমইডি সচিব তার বক্তব্যে জানান, বর্তমানে সরকারি ক্রয়ের চুক্তি ব্যবস্থাপনা ই-জিপি পদ্ধতির মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। বাংলাদেশ ই-জিপি ব্যবস্থায় অর্জিত অগ্রগতির জন্য বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি লাভ করেছে। ১১টি দেশ এবং ৫টি আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিরা বাংলাদেশে এসে এর সাফল্য সম্পর্কে জেনেছেন। এ ছাড়া, ই-জিপি ব্যবস্থা ইতোমধ্যে চারটি আন্তর্জাতিক আইএসও সনদ অর্জন করেছে।

চকরিয়া উপজেলায় কর্মশালা:

এর আগে, ১৮ ডিসেম্বর ২০২৪ তারিখে কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায় আরেকটি কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিপিপিএ-এর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জনাব মির্জা আশফাকুর রহমান। কর্মশালাটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।

মির্জা আশফাকুর রহমান বলেন, দেশের উন্নয়ন বাজেটের ৮০ শতাংশই সরকারি ক্রয়ে ব্যয় হয়। এ ক্ষেত্রে অদক্ষতা দূর করা অত্যন্ত জরুরি। ই-জিপি ব্যবস্থার কারণে ২০০৭ সালে যেখানে মাত্র ১০% কার্যাদেশ প্রাথমিক বৈধতার সময়ে ইস্যু করা হতো, ২০২৪ সালে তা বেড়ে ৯৬.৬৩% হয়েছে।

সরকারি ক্রয়ের দক্ষতা বাড়াতে এবং আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে বিপিপিএ এ প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। ই-জিপি ব্যবস্থার এ সাফল্য জনগণের অর্থের অপচয় রোধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে।

জনসচেতনতার আহ্বান:

সরকারি কর্মকর্তারা জনগণের অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সকল স্তরে সতর্কতা অবলম্বনের আহ্বান জানান। ই-জিপি ব্যবস্থার সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করার পাশাপাশি সংশ্লিষ্টদের আরও প্রশিক্ষণ এবং সচেতনতার প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন।

এই প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকলে সরকারি ক্রয় আরও স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক এবং পরিবেশবান্ধব হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

Publication Date : 23/12/2024