News
Title | : | সরকারি ক্রয় ও এডিপি বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ -আইএমইডি সচিব |
---|---|---|
Description | : | সরকারি ক্রয়সহ বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের গুণগত মান উন্নয়নে সাংবাদিকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। কারণ গণমাধ্যমগুলো প্রায়ই এডিপি বাস্তবায়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে প্রতিবেদন প্রচার করে থাকে। গত ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ তারিখে সিলেট বিভাগের সাংবাদিকদের জন্য সরকারি ক্রয় ও ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) বিষয়ক ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব জনাব প্রদীপ রঞ্জন চক্রবর্তী একথা বলেন। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন্স প্রোগ্রামের (বিসিসিপি) সহায়তায় আইএমইডির সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিট (সিপিটিইউ) ভার্চুয়াল প্ল্যাটফরমে এই ওরিয়েন্টশন প্রোগামের আয়োজন করে। সিলেটের জেলা প্রশাসক জনাব এম কাজী এমদাদুল ইসলাম এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে যুক্ত ছিলেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিপিটিইউর মহাপরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী। ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে সরকারি ক্রয় ও ডিজিটাইজেশনের বিভিন্ন দিক ব্যাখ্যা করে প্রেজেন্টেশন দেন সিপিটিইউর পরিচালক ও যুগ্মসচিব জনাব মো. আজিজ তাহের খান। এতে বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সিলেট বিভাগের ৩০ জন সাংবাদিক অংশ নেন। ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে আইএমইডি সচিব জানান, কোভিড-১৯ অতিমারি সত্বেও গত ২০২০-২১ অর্থবছরে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ৮২ শতাংশের বেশি। তিনি বলেন, ‘ আমি সাংবাদিকদেরও এজন্য ধন্যবাদ দিতে চাই। কারণ বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আমরা নানা সংশোধনমূলক পদক্ষেপ নিয়ে থাকি। এটি প্রকল্প বাস্তবায়ন বাড়াতে সহায়তা করে।’ তিনি জানান, আইএমইডি ইলেকট্রনিক প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেম (ই-পিএমআইএস) চালু করতে যাচ্ছে। সেখানে সাংবাদিকরাও একটি নির্দিষ্ট পর্যায় পর্যন্ত বিভিন্ন তথ্য দেখতে পারবেন। তিনি বলেন,‘চলতি এডিপির আওতায় প্রায় ১৭০০ প্রকল্প আছে। ই-পিএমআইএস এ জিও-ট্যাগিং এবং জিও-লোকেশন থাকবে। যার মাধ্যমে আমরা অনলাইনে প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে পারবো। আমরা আশা করছি, ২০২২ সালের মধ্যে সিস্টেমটি প্রস্তুত হবে। এটি ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠারও একটি অংশ।’ সরকারি ক্রয়ের গুরুত্ব সম্পর্কে আলোকপাত করে সচিব বলেন, এডিপির প্রায় ৮০ শতাংশ ও জাতীয় বাজেটের প্রায় ৪৫ শতাংশ ব্যয় হয় সরকারি ক্রয়ে। সরকারি ক্রয়ের গতি ও গুণগত মান যতই বাড়বে, প্রকল্পের বাস্তবায়নও তত ভালো হবে। তিনি বলেন, ‘২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে উন্নীত হতে আমাদের উচ্চ প্রবৃদ্ধি অর্জন করা প্রয়োজন।’ ওরিয়েন্টশন প্রোগ্রামে ই-জিপি, সরকারি ক্রয় ও এর বাস্তবায়নের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয়ে জানতে চান সাংবাদিকরা। সিপিটিইউ মহাপরিচালক এসব প্রশ্নের উত্তর দেন। একজন ঠিকাদারের হাতে একসঙ্গে অনেক কাজ থাকা, চুক্তি বাস্তবায়নে বিলম্ব, প্রকল্পের খরচ বেড়ে যাওয়া, টাকার অঙ্কে সামগ্রিক ক্রয়ে ই-জিপির অংশ, দরপত্র প্রক্রিয়ায় হয়রানির অবসান, সাম্প্রতিক কিছু ঘটনা ইত্যাদি সম্পর্কে প্রশ্ন করেন গণমাধ্যম কর্মীরা। পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ এর আলোকে এসব বিষয় ব্যাখ্যা করেন সিপিটিইউ মহাপরিচালক। তিনি বলেন, বর্তমানে সরকারি ক্রয়ে ব্যয়ের ৬৫ শতাংশই হচ্ছে ই-জিপির মাধ্যমে। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে সিপিটিইউ মহাপরিচালক বলেন,‘সরকারি ক্রয় সম্পর্কে নাগরিকদের জানার অধিকার রয়েছে। আমরা আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দিতে চাই এবং সরকারি ক্রয়ের বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে পরিস্কার ধারণা দিতে চাই, যাতে করে আপনারা জনগণের কাছে প্রকৃত তথ্য তুলে ধরতে পারেন।’ একজন দরপত্রদাতা একই সময়ে কতটি সরকারি ক্রয়ে যুক্ত থাকতে পারেন সে বিষয়ে জানতে চান সিলেটের জেলা প্রশাসক। তিনি বলেন, দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দরদাতাও যথেষ্ট উপযুক্ত থাকেন। বিভিন্ন কারণে কাজের সমস্যা হয় এবং নিয়ম বহির্ভূতভাবে কাজ বিক্রির ঘটনা ঘটে থাকে। এসব বিষয়ে দৃষ্টি দেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি। সিপিটিইউ মহাপরিচালক বলেন, ঠিকাদারদের একটি ডাটাবেইজ তৈরি করেছে সিপিটিইউ। সেখান থেকে ক্রয়কারীরা ঠিকাদারদের বিগত কাজের তথ্য পেতে পারে। ডাটাবেইজটি নিয়ে ক্রয়কারীদের সংগে আলোচনা চলছে।
|
Publication Date | : | 21/09/2021 |