News

Title : ‘ই-জিপি সিস্টেম মহিলা দরপত্রদাতা-বান্ধব’
Description :

ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমটি ব্যবহারকারী-বান্ধব। মহিলা উদ্যোক্তা ও দরপত্রদাতারাও খুব সহজেই ই-জিপি সিস্টেম ব্যবহার করে ঘরে বসেই অনলাইনে দরপত্র প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করতে পারেন। অফিস আদালতে যাওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। নথিপত্রের স্তুপ বহন করার ঝামেলাও পোহাতে হবে না তাদের। আর পাবলিক প্রকিউরমেন্ট আইন ২০০৬ ও পাবলিক প্রকিউরমেন্ট বিধিমালা ২০০৮ লিঙ্গ-নিরপেক্ষ।

গত ১৯ সেপ্টেম্বর মহিলাদের জন্য ই-জিপি সচেতনতা শীর্ষক কর্মশালায় এসব পর্যবেক্ষণ তুলে ধরা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) সম্মেলন কক্ষে এ কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে বাস্তবায়নাধীন ডিজিটাইজিং ইমপ্লিমেন্টেশন মনিটরিং অ্যান্ড পাবলিক প্রকিউরমেন্ট প্রজেক্টের (ডাইম্যাপ) আওতায় এ কর্মশালার আয়োজন করে সিপিটিইউ।     

কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইএমইডির সচিব জনাব আবুল কাশেম মোঃ মহিউদ্দিন। সিপিটিইউর মহাপরিচালক জনাব মো: শোহেলের রহমান চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন। সঞ্চালনা করেন সিপিটিইউর পরিচালক মিজ লাবনী চাকমা। কর্মশালার সার্বিক ব্যবস্থাপনা করেছে বিসিসিপি।

আইএমইডি ও সিপিটিইউর কর্মকর্তারা কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানে মোট ৫০ জন মহিলা অংশগ্রহণ করেন। তাদের মধ্যে ছিলেন ৩০ জন মহিলা দরপত্রদাতা ও উদ্যোক্তা। বিশ্বব্যাংক ঢাকা অফিসের প্রকিউরমেন্ট স্পেশালিস্ট জনাব আরাফাত ইশতিয়াকও অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।

এ কর্মশালা আয়োজনের উদ্দেশ্য ছিল সরকারি ক্রয়ে মহিলা দরপত্রদাতার সংখ্যা বাড়াতে সহায়তা করা এবং ই-জিপি নামে ব্যাপকভাবে পরিচিত ডিজিটালাইজড সরকারি ক্রয় ব্যবস্থার সুবিধা সম্পর্কে তাদেরকে জানানো।  

অনুষ্ঠানে সিপিটিইউর মহাপরিচালক তার উপস্থাপনায় দেশের সরকারি ক্রয় ও ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা তুলে ধরেন। তিনি ই-জিপি সিস্টেমের সিকিউরিটি অপারেশন্স সিস্টেম, ইন্টিলিজেন্স মডিউল এবং সাম্প্রতিক সময়ে যুক্ত হওয়া ই-জিপির বিভিন্ন মডিউল সম্পর্কে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেন।

তিনি বলেন, ই-জিপি সিস্টেমের ইনফরমেশন সিকিউরিটি সিস্টেম আইএসও সনদ পেয়েছে। গুণগত মান ও পরিবেশ সম্পর্কিত আইওএস সনদ পেয়েছে ই-জিপি। এছাড়া বিজনেস কন্টিনিউটি ম্যানেজমেন্ট সম্পর্কিত আরেকটি সনদও সম্প্রতি অর্জিত হয়েছে। 

কর্মশালায় মহিলা দরপত্রদাতাদের কয়েকজন ই-জিপি সার্ভারের গতির বিষয়ে কথা বলেন। এ বিষয়ে সিপিটিইউ মহাপরিচালক বলেন, সার্ভারটি বিপুল সংখ্যক হিট একসঙ্গে ব্যবস্থাপনায় সক্ষম। তবে দরপত্র জমাদানে শেষ দিন পর্যন্ত অপেক্ষা না করতে দরপত্রদাতাদের পরামর্শ দেন তিনি।

কয়েকটি বৃহৎ ক্রয়কারী সংস্থার কয়েকজন মহিলা কর্মকর্তাও কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। আরও বেশি সংখ্যক মহিলা উদ্যোক্তাদের ই-জিপি ব্যবহার করার পরামর্শ দেন তারা। তারা বলেন, ই-জিপি মহিলা-বান্ধব। মহিলা দরপত্রদাতা ও ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে এ ধরনের আরও কর্মশালা আয়োজন করা দরকার। এতে মহিলা দরপত্রদাতারা যেমন উৎসাহিত হবেন তেমনি ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোও যোগ্য মহিলা দরপত্রদাতাদের কন্ট্রাক্ট অ্যাওয়ার্ড দিতে আত্মবিশ্বাসী হবে।

আইএমইডি সচিব মহিলা দরপত্রদাতাদের প্রশংসা করে বলেন, মহিলারা অনেক ক্ষেত্রেই পুরষদের চেয়ে ভালো করছেন। আমাদের মানসিকতায় পরিবর্তন দরকার। সরকারি ক্রয়সহ সব খাতে মহিলাদের অংশগ্রহণের সুযোগ বাড়ানো প্রয়োজন।

সরকারি ক্রয় এবং অন্যান্য ক্ষেত্রে মহিলারা কতটা দক্ষতার সঙ্গে কাজ করছেন- সে বিষয়ে কিছু উদাহরণও দেন তিনি। মহিলা দরপত্রদাতাদের সাফল্যের গল্পগুলো তুলে ধরে সম্ভাব্য মহিলা দরপত্রদাতাদের সরকারি ক্রয়ে উৎসাহিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন আইএমইডি সচিব।

 

Publication Date : 24/09/2023