News

Title : ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোকে ই-সিএমএস ব্যবহারের আহ্বান জানিয়েছেন সিপিটিইউ’র মহাপরিচালক
Description :

ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট (ই-জিপি) সিস্টেমে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া ইলেকট্রনিক কন্ট্রাক্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের (ই-সিএমএস) সুবিধা নেওয়ার জন্য ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ) মহাপরিচালক জনাব মো. শোহেলের রহমান চৌধুরী।

গত ১৫ জুন সিটিটিইউর মোবাইল অ্যাপে সরকারি ক্রয় চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পর্কে নাগরিক মতামত গ্রহণের প্লাটফর্ম ডিজাইন বিষয়ক কর্মশালায় তিনি এই আহ্বান জানান। সিপিটিইউর সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত ওই কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) সচিব জনাব আবুল কাশেম মো. মহিউদ্দিন।

অনুষ্ঠানে আইএমইডি সচিব বলেন, ইলেকট্রনিক সিস্টেমের শুরুর দিকে কিছু সীমাবদ্ধতা থাকে। কার্যক্রম পরিচালনা ও চর্চার মাধ্যমে ধীরে ধীরে সেগুলো কাটিয়ে ওঠা যায়। তিনি বলেন, ই-জিপি আজ সফল। সরকারি ক্রয় চুক্তি বাস্তবায়ন বিষয়ে নাগরিকদের মতামত গ্রহণ ও উত্তর দেওয়ার প্লাটফর্ম তৈরি হলে তা প্রকল্পের গুণগত মান বাড়াতে সাহায্য করবে। সিপিটিইউ’র ‍নিযুক্ত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিনেট এ বিষয়ে কাজ করছে।

সিপিটিইউর পরিচালক ও অতিরিক্ত সচিব জনাব মাসুদ আকতার খান কর্মশালাটি সঞ্চালনা করেন। সরকারি ক্রয় চুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে নাগরিক মতামত গ্রহণের প্লাটফর্ম ডিজাইন বিষয়ে একটি উপস্থাপনা দেন সিপিটিইউর পরামর্শক প্রতিষ্ঠান ডিনেটের হেড অব টেকনোলজি আন্দালিব বিন হক।

বিভিন্ন সরকারি অফিস, ব্যবসায়ী সংগঠন, গণমাধ্যম ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। তাঁরা বলেন, সরকারি ক্রয় বিষয়ে নাগরিকদের মতামত জানার উদ্যোগটি প্রশংসনীয়। কারণ সরকারি ক্রয়ে প্রতিবছর প্রায় ৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থ ব্যয় হয়। জনগণের অর্থেই সরকারি ক্রয় বাস্তবায়ন হয়। তাই নাগরিকদের সরকারি ক্রয় চুক্তির বাস্তবায়ন বিষয়ে জানা ও মতামত প্রদানের অধিকার রয়েছে। তবে মতামত গ্রহণের প্লাটফর্মটি প্রথমে পরীক্ষামূলকভাবে চালুর পরামর্শ দেন বক্তারা।

সমাপনী বক্তৃতায় সিপিটিইউর মহাপরিচালক সংশ্লিষ্ট সবাইকে ই-জিপিতে সম্প্রতি যুক্ত হওয়া বিভিন্ন সুবিধা যেমন- ই-অডিট, আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতামূলক দরপত্র (আইসিবি), সরাসরি ক্রয় পদ্ধতি (ডিপিএম), টেন্ডারার ডাটাবেইজ ও ই-সিএমএস ব্যবহারের আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, গত ১৩ জুন সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী ই-জিপিতে ই-সিএমএস মডিউল ব্যবহার করে নোয়াখালীতে একজন ঠিকাদারকে প্রথমবারের মতো অনলাইনে বিল পরিশোধ করেছেন। সব ক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান এখন থেকে ঠিকাদারদের বিল পরিশোধে অনলাইন সিস্টেম ব্যবহার করবে। তিনি জানান, দরপত্রদাতাদের টার্নওভার, অভিজ্ঞতা, বাস্তবায়িত চুক্তির সংখ্যা, ডিবারমেন্ট এবং হাতে থাকা চুক্তিসহ প্রায় আট ধরনের তথ্য এ ডাটাবেইজে পাওয়া যায়।

সিপিটিইউর মহাপরিচালক বলেন, ই-সিএমএস বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের সরকারি ক্রয় ব্যবস্থা আরও এক ধাপ এগিয়েছে। ই-জিপিতে ই-সিএমএসের মডিউল যুক্ত করে ঠিকাদারের বিল অনলাইনে দেওয়ার সুবিধা চালুর মাধ্যমে নতুন একটি মাইলফলকে পৌঁছেছে সিপিটিইউ। সিপিটিইউ, আইবাস প্লাস প্লাস টিম, দোহাটেকের এনহ্যান্সমেন্ট, অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স (ইওএম) টিম, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী এবং সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের যৌথ প্রচেষ্টায় গত ১৩ জুন প্রথমারের মতো এটি সফলভাবে করা গেছে।

​​​​​​​তিনি বলেন, ই-সিএমএস চালু হওয়ায় চুক্তি ব্যবস্থাপনা এখন ই-জিপির মাধ্যমে সম্পাদন করা যায়। বিল পেমেন্ট, সার্টিফিকেশনসহ ক্রয় পরিকল্পনা থেকে শুরু করে চুক্তি বাস্তবায়ন সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত বিভিন্ন কাজ এখন অনলাইনেই করা যায়। এছাড়া টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অনুসারে সরকারি ক্রয় টেকসই করার লক্ষ্যে সিপিটিইউ টেকসই পাবলিক প্রকিউরমেন্ট পলিসি এবং এসেট ডিসপোজাল পলিসি খসড়াও তৈরি করেছে বলে জানান তিনি।

Publication Date : 15/06/2023